বাংলা হান্ট ডেস্ক : গোটা দেশ জুড়ে এখন চলছে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। করোনা মহামারীর কবলে এখন গোটা বিশ্ব। এর মধ্যেই উত্তপ্ত ভারত-চীন সীমান্ত। বেশ কিছুদিন ধরেই সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা সামনে আসছে।আচমকাই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে ভারতীয় সেনা ও চীনা সেনা। ভারতের সঙ্গে চীনের এই সংঘাতে এখনো পর্যন্ত শহীদ হয়েছেন ভারত ও চীনের প্রচুর সেনা জওয়ান।
পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেওয়ায় প্রথমে এই ঘটনার সব দায়ভার ভারতের ওপরই চাপাচ্ছিল চীন।” নয়াদিল্লি যেন দাদাগিরি করে ‘একতরফাভাবে’ কোন পদক্ষেপ না করে।”এই হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল বেজিংয়ের তরফে।
ধীরে ধীরে পরিস্থিতি খারাপ হলে মঙ্গলবার গভীররাতে নিরাপত্তাবিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি বৈঠক করে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ” সীমান্তে পরিস্থিতি বুঝে সব সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় সেনা।” ভারতের ও চীনের সীমান্তের সমস্ত রাজ্যে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। উত্তরাখান্ড, হিমাচল, অরুণাচলপ্রদেশেও সেনাটহল বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যেই চীনের সঙ্গে সেনা স্তরের সব আলোচনা স্থগিত করে দিল ভারত। সীমান্তের সব রকম সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা সেনাকে দিলো কেন্দ্র। আজ সকালে ফের নিয়ন্ত্রণরেখা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এর সঙ্গে বৈঠক হয় চিফ স্টাফ অফ ডিফেন্সের।এই বৈঠকে শামিল থাকে তিন বাহিনীর প্রধানরাও।ইতিমধ্যেই সংঘর্ষস্থল থেকে সরে গিয়েছে প্রচুর চাইনিজ সৈনিক।
চীন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জাও লিজিয়ান ভারত-চীন সংঘাত নিয়ে একরকম ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা ভারতকে বলেছি সীমান্তে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে। ভারতের ফ্রন্টলাইন ট্রপ যেন চীনের সেনাদের উত্তেজিত না করে। কথোপকথনের মাধ্যমে সঠিক রাস্তায় ফিরে আসাই ভালো।”
প্রথমে ভারত চীন সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিলেও মোদী জামানায় আঘাতের উত্তরে ভারতীয় সেনাদের দাদাগিরি দেখে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জাও লিজিয়ান বলেন, “চীন আর সংঘর্ষ চায়না। মিলিটারি চ্যানেল ও কূটনীতিকদের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। ঘটনাটি চীনের মাটিতে হয়েছে। তাই এই ঘটনা খুব পরিষ্কার। তবে আমরা এর জন্য কাউকে দোষ দিতে চাই না। “মোদী জমানায় ভারতকে আঘাত করলে প্রত্যাঘাত মিলবে খুব শীঘ্রই, বর্তমানে ভারতকে হালকাভাবে নিলে তা খুব ভুল করা হবে এই কথা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে চীন।