জো বিডেন রাষ্ট্রপতি পদের শপথ নিতেই আরো একবার আন্তর্জাতিক মহলে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে। প্ৰাপ্ত খবর অনুযায়ী, আমেরিকায় শক্তি হস্তান্তর হওয়ার সাথে চীন বড়ো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীন ট্রাম্প প্রশাসনে থাকা প্রায় ৪০ জন কর্মকর্তার উপর ব্যান লাগিয়ে দিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনে থাকা বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেয় সহ ৩০ জনের উপর ব্যান লাগিয়ে দিয়েছে। স্পষ্টতই যে, ট্রাম্প প্রশাসনের দরুন চীন অস্বস্তিতে ছিল। আর এখন ক্ষমতা হস্তান্তর হওয়ার পরই চীন তার উদেশ্য ব্যাক্ত করতে শুরু করে দিয়েছে। চীনের এই পদক্ষেপের উপর জো বাইডেনের প্রতিক্রিয়া দুই দেশের মধ্যে আগামী পরিস্থিতির সম্ভবনা নির্ধারণ করবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন উনি বহুবার চীনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আধিপত্যকে দমিয়ে রাখার ভরপুর প্রয়াস করেছেন। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে কম চর্চা হয়নি। হংকং, তাইওয়ান ইস্যুতেও ট্রাম্প প্রশাসন চীনের উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছিল।
ট্রাম্প এর ঘনিষ্ট কর্মককর্তাদের ব্যান করার বিষয়ে বলতে গিয়ে চীনের বিদেশমন্ত্রণালয় বলেছে যে, হংকং বা তাইওয়ানের ইস্যুতে কোনো উস্কানি তারা মেনে নেবে না। চীনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, হংকং এর বিষয়ে আমেরিকার নাক গোলানো বন্ধ করা উচিত।
আমেরিকার কারণে চীনের রাষ্ট্র সুরক্ষার উপর প্রভাব পড়ছে বলে দাবি করা হয়েছে, আর এই কারনে ব্যান লগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জানিয়ে দি, কিছু সময় আগে আমেরিকা প্রশাসন চীনের বেশকিছু কর্মকর্তার উপর গোয়েন্দাগিরি করার অভিযোগে ব্যান লাগিয়েছিল। আর এখন পর তার প্রতিশোধ তুলতে শুরু করে দিয়েছে চীন।