বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: লাদাখের পূর্ব সীমান্তে ভারত ও চীনের মধ্যে চলতি সামরিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। উপগ্রহ দ্বারা প্রেরিত চিত্র মারফত দেখা গেছে যে প্যাংগং হ্রদের এলাকায় নিজেদের দখল শক্তিশালী করতে চীন দ্রুত হ্রদের ওপর একটু সেতু নির্মাণের কাজ করছে। ভারত ২০২০ সালের ২৯ শে আগস্ট একটি বড় অভিযান চালিয়েছিল। জানা গিয়েছে, চীনের কূটনীতির পাল্টা হিসাবে ভারত এই অভিযান চালিয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী রাতভর অভিযান চালিয়ে প্যাংগং লেকের দক্ষিণ তীরে পাহাড় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। যার জেরে কিছুটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিল চীন।
ভারতের সেই অভিযানের সময় থেকে চীনের সেনাবাহিনী লেকের উত্তর তীরে ঘাঁটি গেড়েছিল। তাই তারা এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি এবং ভারত স্ট্র্যাটেজির দিক দিয়ে চীনকে টেক্কা দিয়েছিল। পরবর্তীতে এই ঝুঁকি কাটিয়ে উঠতে চীন প্যাংগং হ্রদের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করছে। এ জন্য তারা লেকের একটি বিশেষ জায়গা নির্বাচন করেছে যেখানে লেকটি খুবই সরু।
ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্সের প্রতিবেদনে ওই এলাকার স্যাটেলাইট ছবি সকলের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। ওই অঞ্চলে প্যাংগং লেকের দুই ধার থেকে সংযোগকারী একটি সেতুর মতো কাঠামো দেখা গেছে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ভারী তুষারপাত এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে কাজ এখনও শেষ হয়নি, তবে যত দ্রুত সম্ভব ওই কাজ শেষ করতে চাইনে চীন। গঠন সম্পূর্ণ হলে ওই সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৪০০ মিটার। শিগগিরই এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে, যা হয়ে গেলে চীনের কাছে লেকের দুই প্রান্তে যাতায়াত অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে। এখন তাদেরকে হ্রদের উত্তরাঞ্চলের বেস ক্যাম্প থেকে দক্ষিণে বেস ক্যাম্পে পৌঁছাতে প্রায় ২০০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে হয়। কিন্তু সেতুটি নির্মাণ হলে সেই দুটি জায়গায় যাতায়াত করতে তাদের মাত্র ৫০ কিমি অতিক্রম করতে হবে।
সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অশোক সোয়ান এই পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক স্তরে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন। তার মতে, প্যাংগং এলাকায় দ্রুত সেতু নির্মাণ করে চীন স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এই এলাকা থেকে পিছিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। সকলের সামনে নিজেদের আলোচনায় আগ্রহী দেখিয়ে তারা আড়ালে নিজেদের সামরিক অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট