বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়ে এবার মাউন্ট এভারেস্টকে (Mount Everest) নিজেদের বলে দাবী করল চীন (China)। এভারেস্টের সর্বোচ্চ চূড়াকে এবার নিশানা করতে চলেছে চীন সরকার। চীনের সরকারী টিভি চ্যানেল, চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের আধিকারিক বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টকে চীনের বলে দাবী জানিয়েছে।
মাউন্ট এভারেস্ট চীনের অংশ!
করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে কোণঠাসা হয়ে পড়ায় চীন এবার বিস্তারবাদী নীতিকে আকড়ে ধরেছে। চীনের সরকারী টিভি চ্যানেল মারফত জানা যায়, মাউন্ট কোয়ামলেংমাতে গত শুক্রবার করে সূর্যের কিরণের এক অসাধারণ রূপ ফুটে উঠেছিল। বিশ্বের এই সর্বোচ্চ শৃঙ্গ চীনের তিব্বতের অংশ।
মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় চীনের স্থাপিত নেটওয়ার্ক
চীন এই দাবীকে বাস্তবে রূপদানের জন্য, তারা কূটনীতির আশ্রয় নিয়েছে। চীনের চায়না মোবাইল এবং হুয়াবের কোম্পানী মাউন্ট এভারেস্টের তিব্বতের দিকে ৬৫০০ মিটার উঁচুতে 5g ইন্টারনেট বেস স্টেশন নির্মান করেছে। সমদ্র তল থেকে ৮০০০ হাজার মিটার উঁচুতে এই 5g নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। এই পরিষেবা ব্যবহার করে ভারত, বাংলাদেশ, মায়নমারের উপর নজরদারী করতে পারবে চীন।
মাউন্ট এভারেস্ট বিভাগ
১৯৯০ সালে সীমা বিবাদের বিষয়ে চীন এবং নেপাল সরকার এক চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেছিল। যে চুক্তি মোতাবেক মাউন্ট এভারেস্টকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। দক্ষিণী ভাগ পড়ে চীনের মধ্যে এবং উত্তরের ভাগ তিব্বতের মধ্যে পড়ে।
স্যোশাল মিডিয়ায় চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে ভারত-নেপালবাসী
চীনের এই নিম্নমানসিকতার প্রকাশ ঘটতেই নেপাল এবং ভারতবাসী স্যোশাল মিডিয়ায় চীনের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গ- বিদ্রূপ করতে শুরু করে দিয়েছে। নাগরিকরা সরকারের কাছে চীনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে।
হিমালয় পর্বতমালা অধিগ্রহনের আশঙ্কা!
বর্তমানে তিব্বতের উপর চীন কবজা করে নিয়েছে। চীনের এই ব্যবহারে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, সমগ্র হিমালয় পর্বতমালা চীনের দখলে চলে যেতে পারে। চীন প্রথম থেকেই নিজেকে ক্ষমতাবান প্রমাণ করে, প্রতিবেশি দেশের উপর কর্তৃত্ব ফলাতে চেয়েছে। তবে বর্তমানে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে চীন এবং নেপালের সম্পর্কে কি প্রভাব পড়তে পারে।