বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পূর্ব চীন (china) সাগরের কয়েকটি দ্বীপকে চীন ও জাপান (japan) নিজেদের মনে করে। জাপানিরা এই দ্বীপগুলোকে সেনকাকু বলে ডাকে। আর চীনাদের কাছে এগুলো পরিচিত তিয়াওইউ নামে। জাপানের ইশিগাকি শহরের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল হচ্ছে টোনোশিরো। সেনকাকু দ্বীপগুলো এই অঞ্চলের অন্তর্গত। তাই সম্প্রতি এই অঞ্চলটির নাম পরিবর্তন করে টোনোশিরো সেনকাকু করা হয়েছে।
Breaking: US designates Chinese propaganda outlet "Global Times" @globaltimesnews as foreign missions along with 3 other Chinese communist party owned media outlets. This will tighten rules for them. pic.twitter.com/A3qx3vjH3U
— Sidhant Sibal (@sidhant) June 22, 2020
জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকে বলছে, ইশিগাকি শহরের আরেকটি এলাকার নাম টোনোশিরো। অর্থাৎ ইশিগাকি শহরের একটি এলাকা ও একটি প্রশাসনিক অঞ্চলের নাম এখন একই, টোনোশিরো। এই বিভ্রান্তি দূর করতেই প্রশাসনিক অঞ্চলের নাম পরিবর্তন করে টোনোশিরো সেনকাকু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী অক্টোবর মাসের ১ তারিখ থেকে এই নাম ব্যবহার শুরু হবে।
জাপান সাথে চীনের যদি যুদ্ধের পরিস্থিতি হয়, তাহলে সরাসরি আমেরিকা ঢুকে যাবে কারণ ১৯৫১ সালে জাপান ও আমেরিকার মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। আর জাপানকে যদি আক্রমণ করা হয় তাহলে আমেরিকা ভাববে তাকে আক্রমণ করা হয়েছে। আমেরিকার গায়ে লাগবে।
কিন্তু ইশিগাকি শহর কর্তৃপক্ষের এই নাম পরিবর্তন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেনা চীন৷ এবিষয়ে চীনের বিদেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘‘এই বিল (যার মাধ্যমে ইশিগাকি শহর কর্তৃপক্ষ নাম পরিবর্তন করেছে) চীনের সার্বভৌমত্বের প্রতি বড় চ্যালেঞ্জ, যা অবৈধ৷ এই দ্বীপ যে চীনের অন্তর্গত তিয়াওইউ দ্বীপ, সে বিষয়ে কোনো বদল এই বিলের ফলে হবে না৷”
মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ঝাও লিঝিয়ান বলেন, চীন তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে অবিচল৷ এবিষয়ে জাপানের কাছে নালিশও জানিয়েছে তারা৷ এদিকে, সেনকাকু দ্বীপের আরেক দাবিদার তাইওয়ানও জাপানের এই নামবদলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে৷
চীন-জাপান-তাইওয়ানের মধ্যে চলা এই বিতর্ক নতুন করে চীন ও জাপানকে রেষারেষির দিকে ঠেলে দিতে পারে, মনে করছেন অনেকে।