চীন নিয়ে বিস্ফোরক রিপোর্ট, ১৭ হাজার গুণেরও বেশি করোনা মামলা লুকিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সারা বিশ্বে আবারও প্রভাব বিস্তার করছে করোনা। এই মহামারী যেখান থেকে শুরু হয়েছিল, সেখানেই দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আমরা আরও কারও কোথা নয়, চীনের কথা বলছি। একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে চীনে কোভিডের প্রকৃত সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ। যদিও চীনা কর্মকর্তাদের তরফে বলা হয়েছে যে, মাত্র ৪ হাজার ৬৩৬ জনই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। বলে দিই, চীনে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর লকডাউন সত্ত্বেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

দ্য সান-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্টিভেনস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ডেটা বিশেষজ্ঞ জর্জ ক্যালহাউন অভিযোগ করেছেন যে, চীনা সরকার তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি বজায় রাখতে বিশ্বের কাছে মৃত্যুর সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে, চীনে করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পরিসংখ্যানের চেয়ে ১৭ হাজার শতাংশ বেশি হতে পারে। এছাড়াও, দ্য ইকোনমিস্ট দ্বারা তৈরি একটি মডেল দ্বারা উৎপন্ন ডেটা অধ্যয়ন করে একজন বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন যে, চীনের সরকারী পরিসংখ্যান এবং প্রকৃত সংখ্যা অনেক আলাদা।

ক্যালহাউন বলেছেন যে, ‘এপ্রিল ২০২২ থেকে যখন বেশিরভাগ মৃত্যু উহানে হয়েছিল, তখন বেইজিংয়ের কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কেবল দুটি মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেছিল। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বের সবচেয়ে কম কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা চীনে দেখানো হয়েছে। এটা অসম্ভব, এটা চিকিৎসা ও পরিসংখ্যানগতভাবে অসম্ভব।

ক্যালহাউন বলেন, ‘মনে রাখবেন ২০২০ সালে করোনার কোনও ভ্যাকসিন ছিল না, কোনও চিকিৎসা ছিল না। এর পরেও চীন সেখানে করোনার হাজার, হাজার লাখ, লাখ মামলা হলেও শূন্য মৃত্যু দেখিয়েছে। জনস হপকিন্স করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্য অনুসারে, সেই সময়ে চীনে কোভিডের ২২ হাজারের বেশি কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল।

তবে দ্য ইকোনমিস্টের মডেলের উপর ভিত্তি করে ক্যালহাউন দাবি করেছেন যে, চীনের সরকারী মৃত্যুর হার প্রায় ১৭ হাজার শতাংশ কম। এই প্রথম নয় যে চীনের বিরুদ্ধে মৃত্যুর খবর ছাপিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। এর আগে, কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কৃত একজন চীনা অধ্যাপকও রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এবং দেশের তরফ থেকে জারি করা করোনভাইরাস পরিসংখ্যান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।

আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, চীনে করোনার ক্রমবর্ধমান মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাইরে যাওয়া নিষেধাজ্ঞার সাথে জিরো টলারেন্স নীতি প্রযোজ্য রয়েছে। এর পরও সেখানে হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। চীনের কড়া নীতির আওতায় করোনা নিশ্চিত হওয়ার পর আক্রান্তকে বদ্ধ ঘরে আইসোলেশন করা হচ্ছে।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর