বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছু একটা ঘটছে চিনে! (Xi Jinping) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বা সামরিক অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে পশ্চিম চিনে সম্ভাব্য সামরিক তৎপরতা নিয়ে জল্পনায় সরগরম সংবাদ ও সামাজিক মাধ্যম। রীতিমতো আন্তর্জাতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। জল্পনা আরও দানা বাঁধার কারণ, চিনের কিছু অংশে যাত্রীবাহী বিমান কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। এবং শোনা যাচ্ছে চিনের (China) রাজধানী বেজিংয়ের (Beijing) দিকে সামরিক যান–বাহন যাতায়াতের নাকি ফুটেজ পাওয়া গেছে। তবে সবই অনুমান। চিনের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি বা ঘোষণা করা হয়নি।
চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে গৃহবন্দি করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থান হওয়ার দাবিতে এরমধ্যেই ক’য়েক হাজার টুইট করা হয়েছে। তবে কোনও টুইটই বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে হয়নি। সবই বেনামী। শেয়ার হয়েছে একাধিক ভিডিও।
বেশিরভাগ চিন বিশেষজ্ঞ উল্লেখ করেছেন যে, ভারতীয় সামাজিক মাধ্যম ছাড়া এসংক্রান্ত কোনও খবর কোথাও পাওয়া যায়নি। চিন বিশেষজ্ঞ আদিল ব্রার উল্লেখ করেন যে, শি সম্ভবত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন শীর্ষ সম্মেলন থেকে ফিরে আসার পরে নিজেকরে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছেন। ব্রার ওই দেশের ফ্লাইট ডেটাও শেয়ার করে দাবি করেছেন, বিমান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে চিনে। তিনি আরও উর্ধ্বতন চিনা কর্মকর্তাদের পাবলিক ব্রিফিংয়ের ভিডিও শেয়ার করেছেন। এবং সে দেশের সরকার স্বাভাবিক বলে দাবি করেছেন।
সাংবাদিক জাক্কা জ্যাকবের দাবি, চিনের ওপর রাষ্ট্রপতি শি–র একটি শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক দখল রয়েছে। অভ্যুত্থান সম্ভব নয়। তাঁর টুইট, ‘চিনে একটি সামরিক অভ্যুত্থান নিয়ে গুজব চলছে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য কিছুই নেই। চিনে সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা নেই, কারণ পিপলস লিবারেশন আর্মি কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের অধীনে আসে। কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শি, সিএমসি প্রধান। সেনাবাহিনী দলের, সরকার নয়।’
সাংবাদিক ও লেখক অনন্ত কৃষ্ণানও বলেছেন, এখন পর্যন্ত অভ্যুত্থানের কোনো প্রমাণ নেই। হংকং-ভিত্তিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট চিনে কোনোও অভ্যুত্থান বা রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের বিষয়ে প্রতিবেদন লেখেনি। তারা চিন এবং বিশ্বের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক ডজন টুইট করেছে, তাতে বেজিংয়ের অভ্যুত্থানের বিষয়ে কোনও খবর নেই।