বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারত (India) তাদের শত্রু রাষ্ট্র। এমনই মনে মনে করে চিন (China)। তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল সাম্প্রতিক ঘটনায়। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) রাজধানী ইটানগরে অনুষ্ঠিত হয় জি২০ সম্মেলন (G20 Summit)। সেই সম্মেলনে চিন যোগদান করেনি বলেই জানা যাচ্ছে। এখানেই শেষ নয়। জি২০ সম্মেলনের একটি আসর বসবে শ্রীনগরে (Srinagar)। এই মিটিং নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে চিন। একই সুরে সুর মিলিয়েছে পাকিস্তানও (Pakistan)।
তবে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, চিন ইটানগরে যোগ না দিলেও বিশ্বের অধিকাংশ তাবড় রাষ্ট্রগুলি অংশ নেয় এই সম্মেলনে। জানা যাচ্ছে, প্রায় ৫০টিদেশ ইটানগর সম্মেলনে উপস্থিত হয়। হাজির ছিল আমেরিকাও। আগামী শ্রীনগর সম্মেলন নিয়েও ঝামেলা শুরু করেছে চিন। বেজিংকে সঙ্গ দিকে পাকিস্তান। শ্রীনগরে অনুষ্ঠিত হতে চলা সম্মেলন নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে সৌদি আরব এবং তুর্কিও।
১৯৬২ সালের যুদ্ধে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সংলগ্ন এলাকার একটা বড় অংশ দখলে রেখেছিল চিন। ১৭ হাজার ফুট ওপরের অরুণাচল প্রদেশের এই তাওয়াংয়ের সেই দখল করা অংশ পরে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় চিন। কারণ সেই অংশগুলি ম্যাকমোহন লাইনের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। এর পর থেকেই চিন দাবি করে অরুণাচল ভারতের অংশই নয়। সেই অংশেই ফের থাবা কষাচ্ছে চিন। এই এলাকা দখলে রাখলে চিন বেশ কিছু সুবিধা পেতে পারে। আর সেই বার্তা দিতেই এই সম্মেলনে যোগ দিলনা বেজিং। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
তবে, ভারতের জি২০ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করা নিয়ে কোনও আপত্তি ছিলনা চিনের। এমনকি, গত মাসে সমস্ত রাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রীদের মিটিংয়েও অংশ নেয় চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং। এমনকি ইটানগরে অংশ না নেওয়ার বিষয়েও চিন কোনও সরকারি ভাবে বিবৃতিও দেয়নি।
আগামী মে মাসে জি২০ সম্মেলনের আসর বসতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে। এই সম্মেলন নিয়েও বিরোধিতা করছে চিন। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে পাকিস্তান, তুর্কী এবং সৌদি আরব গোষ্ঠী। তবে এই বিরোধিতা স্বত্বেও যেভাবে বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলি জি২০ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে তাতে সন্তুষ্ট দেশের বিদেশমন্ত্রক।