বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েক দিন ধরে সর্বত্র চর্চায় মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডের জোড়া ভূমিকম্প (Earthquake)। মায়ানমারে কম্পনের সূত্রপাত হলেও তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে পার্শ্ববর্তী ব্যাংককও কেঁপে উঠেছিল। থাইল্যান্ডের রাজধানী শহরে ভূমিকম্পের (Earthquake) জেরে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একটি ৩০ তলা বিল্ডিং সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। এবার এই বিল্ডিংটি নিয়ে সামনে এসেছে বড়সড় ‘জালিয়াতি’র সূত্র। আর তার জেরেই পর্দা ফাঁস হয়ে গিয়েছে চিনের।
ব্যাংককের ভূমিকম্পে (Earthquake) ফাঁস চিনের কীর্তি
খোলসা করেই বলা যাক সবটা। ব্যাংকক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পে (Earthquake) যে ৩০ তলা বিল্ডিংটি ধসে পড়েছে, সেটির নির্মাণের দায়িত্বে নাকি ছিল একটি চিনা সংস্থা। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এবার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফে। থাইল্যান্ড প্রশাসনের প্রশ্ন, ভূমিকম্পে (Earthquake) যখন বড় বড় বিল্ডিং ভেঙে পড়ল না, তখন একটি নির্মীয়মান বিল্ডিং কীভাবে ধূলিসাৎ হয়ে গেল?
গ্রেফতার চার চিনা নাগরিক: প্রশ্ন উঠতেই অ্যাকশন মোডে চলে গিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার। ওই ভারপ্রাপ্ত চিনা সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। আর তখনই ঘটনাস্থলে জরুরি নথিপত্র নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল চারজন চিনা নাগরিককে। থাইল্যান্ড সরকারের কর্মকর্তাদের অনুমান, বিল্ডিং তৈরিতে ব্যবহৃত মালমশলায় বড়সড় দুর্নীতি করেছে ওই চিনা সংস্থা। তার জেরেই এমন তাসের ঘরের মতো ভেঙে (Earthquake) পড়ল বাড়িটি। আর এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ওই বিল্ডিং গুলির একটি তালিকা তৈরি করা শুরু হয়ে গিয়েছে, যেগুলির নির্মাণের দায়িত্বে ছিল কোনো না কোনো চিনা সংস্থা।
আরো পড়ুন : সুদীপা অগ্নিদেবের আদুরে পুত্র, আদিদেব কোন স্কুলে পড়ে জানেন? পড়ার খরচই বা কত?
তদন্ত হবে চিনের সংস্থার বিরুদ্ধে: থাইল্যান্ড সরকার প্রশ্ন তুলেছে, চিনের সামগ্রীর মানই কেন সবসময় খারাপ হয়? এ নিয়েও তদন্ত করা হবে। জানা গিয়েছে, ভেঙে পড়া নির্মীয়মান বিল্ডিংটির (Earthquake) দায়িত্বে ছিল চিনের রেলওয়ে নম্বর ১০ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানির এক সহকারী সংস্থা। উল্লেখ্য থাইল্যান্ডের রিয়েল এস্টেট সেক্টরে চিনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে।
আরো পড়ুন : “মোদী সুস্থ থাকুন, দীর্ঘায়ু হন”, ইদে ওয়াকফ-ক্ষোভের মাঝেই দিল্লির জামা মসজিদে নমো’র জন্য প্রার্থনা
প্রসঙ্গত, সূত্রের খবর, মায়ানমারের স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টা নাগাদ ঘটে ভূমিকম্পের ঘটনা। যেমনটা জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের (Earthquake) উপকেন্দ্র ছিল মায়ানমারের প্রধান শহর থেকে আরো কয়েক কিমি দূরে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি গভীরে। তীব্র ভূমিকম্পের প্রভাব পড়ে থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামেও। তারপর থেকে একাধিক বার আফটারশকে কেঁপেছে মায়ানমার এবং থাইল্যান্ড। এখনো পর্যন্ত হাজারেরও বেশি মৃত্যুর খবর এসেছে ওই ভূমিকম্পের ঘটনায়।