বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, চিনে (China) স্থিত একটি নেটওয়ার্ক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media)-কে প্রভাবিত করে খালিস্তান স্বাধীনতা আন্দোলনকে সমর্থন করার পাশাপাশি ক্রমাগত ভারত সরকারের (Government Of India) সমালোচনা করছে। চিনে তৈরি এই নেটওয়ার্ক অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ব্রিটেন এবং নাইজেরিয়া সহ বিশ্বের শিখ সম্প্রদায়কে টার্গেট করেছে বলেও জানা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে, মেটা (পূর্বে ফেসবুক) অনুসারে, অভিযুক্তরা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টেলিগ্রাম এবং এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ প্রধানত ইংরেজি এবং হিন্দিতে খবর ও বর্তমান ঘটনা সম্পর্কে পোস্ট করত। যেখানে AI দিয়ে তৈরি ছবিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত অ্যাকাউন্টগুলি প্রায়শই পাঞ্জাবের বন্যা, বিশ্বজুড়ে শিখ সম্প্রদায়, খালিস্তান স্বাধীনতা আন্দোলন, কানাডায় খালিস্তান সমর্থক হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যা এবং ভারত সরকারের সমালোচনা সম্পর্কে পোস্ট করত।
এমতাবস্থায়, এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে মেটা ৩৭ টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ১৩ টি পেজ, ৫ টি গ্রুপ এবং ইনস্টাগ্রামের ৯ টি অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিয়েছে। মেটা বলেছে যে পোস্ট করার ক্ষেত্রে এবং পেজ ও গ্রুপকে ম্যানেজ করার জন্য ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সত্যিই ৪০০ পার? তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদী, এক্সিট পোলে হল “কনফার্ম”
পাশাপাশি, “অপারেশন কে” নামে একটি কাল্পনিক কর্মী আন্দোলন তৈরি করা হয়। যেখানে নিউজিল্যান্ড থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া সহ আরও অন্যান্য দেশে শিখদের সমর্থনে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। মেটা আরও জানিয়েছে যে, ওই কনটেন্ট দর্শকদের কাছে পৌঁছনোর আগেই প্ল্যাটফর্ম থেকে এই কার্যকলাপ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তলে তলে বিরাট প্ল্যান তৈরি রেলের! এবার বাংলাদেশের মধ্যেও ট্রেন চালাবে ভারত, মিলবে বিশেষ সুবিধা
এদিকে, শুধু মেটাই নয়, এর পাশাপাশি মাইক্রোসফটের একটি দল গত মাসে সতর্ক করেছিল যে চিন ভারত, আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশে তার স্বার্থের জন্য কনটেন্ট তৈরি এবং প্রচার করতে AI ব্যবহার করবে। মাইক্রোসফটের মতে, চিন ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ভোটারদের কাছ থেকে তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কি তা জানার চেষ্টা করছে। যাতে তারা বিভাজন তৈরি করে নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে।