অবাক কাণ্ড! এবার আচমকাই মাটি খুঁড়ে ৩২,০০০ ফুটের গর্ত খুঁড়ছে চিন, মতলব জানলে চমকে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার এক চাঞ্চল্যকর বিষয়ের প্রসঙ্গ সামনে এল চিন (China) থেকে। যেটি জানার পর রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন সকলে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, চিনের উত্তর-পশ্চিমে বিশাল অংশ জুড়ে থাকা খনিজ তেল সমৃদ্ধ শিনজিয়াং প্রদেশে এবার এক্কেবারে ৩২,০০০ ফুটের গর্ত খুঁড়ছে জিনপিংয়ের দেশ। ইতিমধ্যেই ওই গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

এদিকে, এই প্রসঙ্গে চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, শিনজিয়াঙে যে গর্তটি খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে সেটির গভীরতা হবে ১০ হাজার মিটার (৩২, ৮০৮ ফুট)। এমনকি, জেনে অবাক হবেন যে, এই গর্ত খোঁড়ার কাজ সম্পন্ন হলে তা হবে এভারেস্টের উচ্চতার (৮,৮৪৮ মিটার) চেয়েও গভীর।

   

পাশাপাশি, চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং আবার এই কাজকে পৃথিবীর গভীরে অন্বেষণ অভিযান বলে অভিহিত করেছেন। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালে বিজ্ঞানীদের একটি সম্মেলনে গিয়ে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের একাধিক উন্নতির বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন তিনি। তবে, সামগ্রিকভাবে চিনের এহেন গর্ত খোঁড়ার বিষয়ে ঠিক কি কারণ রয়েছে সেটি জানতেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সবাই। সামনে এসেছে সেই উত্তরও।

আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজ থেকে সিনেমা, সবই মিলবে বিনামূল্যে! গ্রাহকদের জন্য দুর্দান্ত প্ল্যান নিয়ে হাজির Jio

এই প্রসঙ্গে চিনা বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন যে, এই কাজের ফলে একাধিক রহস্যের উত্তর মিলতে পারে। ভূগর্ভে সঞ্চিত ধাতু এবং শক্তির উৎস সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি খনিজ পদার্থের সম্ভারও এর মাধ্যমে চিহ্নিত করা যাবে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই প্রকল্পের ওপর ভর করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কেও আগে থেকে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একাধিক মহাজাগতিক “দানব”! অক্টোবরেই বিপর্যয়ের আশঙ্কা

উল্লেখ্য যে, চিনের খোঁড়া এই গর্তটি কিন্তু “পৃথিবীর গভীরতম” গর্ত নয়। বরং, সেই তকমা রয়েছে রাশিয়ার “কোলা সুপারডিপ বোরহোল”-এর কাছে। ওই গর্তের গভীরতা হল ৪০,২৩০ ফুট। যেটি খুঁড়তে সময় লেগেছিল ২০ বছর। পাশাপাশি, ওই গর্তের কাজ শেষ হয় ১৯৮৯ সালে। তবে, বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির ওপর ভর করে চিন এই গর্ত খোঁড়ার কাজ হয়তো অনেকটাই আগে শেষ করে ফেলবে।

 China is digging a hole of 32,000 feet

জানা গিয়েছে, চিনের খোঁড়া এই গর্ত অন্তত ১০ টি মহাদেশীয় স্তর (পাথরের বিভিন্ন আস্তরণ) ভেদ করবে। আর এইভাবেই এক-একটি মহাদেশীয় স্তর ভেদ করতে করতে এই গর্ত পৌঁছে যাবে ভূত্বকের শেষ স্তরে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সেখানে প্রায় ১ কোটি ৪৫ লক্ষ বছরের পুরোনো পাথর উপস্থিত রয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর