বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে ভারত (India) ও চিনের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা কমলেও চিন তার কৌশলগত প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছে। এই প্রসঙ্গে সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা হয়েছে যে, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) হিমালয় অঞ্চলের সীমান্ত চৌকিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্প্রসারণ শুরু করেছে। এমতাবস্থায়, এই পদক্ষেপ চিনের সীমান্ত প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াবে। যা তাদের সৈন্যদের জীবনযাত্রার উন্নতি ঘটাবে। এর পাশপাশি চিন আরও সহজে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য অত্যধিক বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী অস্ত্র এবং সরঞ্জাম মোতায়ন করতেও সক্ষম হবে।
ভারত (India)-চিন সীমান্তে ফের সক্রিয় ড্রাগন:
চিনের কথা ও কাজের মধ্যে পার্থক্য: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, চিনা সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে ওই দুর্গম সীমান্ত চৌকিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ উন্নত করার চেষ্টা করে আসছিল। এখন জিনজিয়াংয়ের শায়দুল্লা এবং তিব্বতের নাগারির মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত সীমান্ত পোস্টগুলি সম্পূর্ণরূপে জাতীয় পাওয়ার গ্রিডের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, এই পদক্ষেপটি কেবল সৈন্যদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে না। বরং, উন্নত অস্ত্র ও সরঞ্জাম স্থাপনকেও সহজ করবে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চিনের এই প্রস্তুতি অবশ্যই LAC-তে তার কথা এবং কাজের মধ্যে পার্থক্যকে স্পষ্ট করেছে।
এই উদ্যোগের ফলে, উচ্চ উচ্চতায় মোতায়েন থাকা চিনের সৈন্যরা পানীয় জল, হিটিং, স্নান করা এবং অক্সিজেনের আরও ভালো সুবিধা পাবে। একই সঙ্গে তাদের সামরিক প্রস্তুতিও বাড়বে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত, চিন ৭০০ টিরও বেশি সীমান্ত পোস্টকে জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে সংযুক্ত করেছে। এদিকে, ভারতের (India) সংলগ্ন পশ্চিম তিব্বতের খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ নাগারি অঞ্চল, পরিবহণ ও লজিস্টিকসের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। যেটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: অভিষেকেই বিরাট নজির! “কনকাশন সাবস্টিটিউট” হিসেবে কিভাবে খেললেন হর্ষিত? জানালেন নিজেই
চিনের এই প্রস্তুতির কারণে ভারতের উদ্বেগ বেড়েছে: এছাড়াও, প্রায় ৩,৭০০ মিটার (১২,১৩৯ ফুট) উচ্চতায় থাকা শাইদুল্লাহ আকসাই চিনের কাছে অবস্থিত। যেটি ভারত (India) দাবি করলেও চিনের দখলে রয়েছে। এই স্থানটি গালওয়ান উপত্যকার খুব কাছে। যেখানে ২০২০ সালে ভারত ও চিনের মধ্যে একটি মারাত্মক সংঘর্ষ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এবার পাকিস্তানেও শুরু মহাকুম্ভ! অভিনব উপায়ে চলছে গঙ্গাস্নান! তুমুল খুশি হিন্দুরা
জানিয়ে রাখি যে, তিব্বত মালভূমির কঠিন জলবায়ুতে মোতায়েন থাকা চিনা সৈন্যদের এখন উন্নত অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে এবং LAC-র কাছে মোতায়েন করা চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা এবং অপারেশনাল ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। এদিকে, সামগ্রিকভাবে চিনের এই কৌশলগত প্রস্তুতি ভারতের (India) জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠতে পারে।