জিনপিংয়ের কারণে বিশ্বজুড়ে বদনাম হচ্ছে চীন, প্রতিবেশী দেশগুলি একজোট হচ্ছে ড্রাগণের বিরুদ্ধে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নকল পণ্য সামগ্রীর ব্যবসা হোক, বা ভুল পদক্ষেপ আবার দাদাগিরি, সবেতেই একটাই নাম উঠে আসে, চীন (China)। সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ চালানো বা কোন দেশকে মিথ্যে ঋণের জালে ফাঁসিয়ে তাঁদের উপর উল্টো পাল্টা অত্যাচার করা, সবকিছুতেই পারদর্শি চীন সরকার জিনপিং (Xi Jinping)।

চীনের বিরুদ্ধে গোটা দেশ
বর্তমানে গোটা বিশ্ব এখন চীনের জারিজুরি বুঝতে পেরেছে এবং সেই মতো চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। তারা বুঝতে পেরেছে চীনের থেকে নেওয়া ঋণ, ভবিষ্যতে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে পারে। এমনকি চীনের থেকে যেসকল দেশ দ্রব্য সামগ্রী আমদানি করে, তারাও চীনের চালাকী বুঝতে পেরেছে, সেই সঙ্গে এটাও বুঝেছে চীন কতটা খারাপ দ্রব্য সামগ্রী বাজারে বিক্রি করে। চীনের প্রতিটি প্রতিবেশি দেশও বর্তমানে বুঝতে পেরেছে, চীন পার্শ্ববর্তী তাঁদের সাম্রাজ্য একেবারেই সুরক্ষিত নয়।

wp4735809 1

 

দায়ী জিনপিং সরকার
চীনের এই দুঃসময়ের জন্য যদি কাউকে দোষী মানা হয় তাহলে, একজনের নামই বারবার উঠে এসেছে, সে হল চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। চীনের আজকের এই দুর্দিনের জন্য রাষ্ট্রপতি জিনপিং-ই একশ শতাংশ দায়ী। বৈদেশিক ব্যবসা হোক বা অর্থনীতি আবার প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক সবকিছুর জন্যই দায়ী হল জিনপিং সরকার।

বিপক্ষে প্রতিবেশী দেশগুলোও
একটা সময় ছিল, যখন বিশ্বের মধ্যে অর্থনীতির দিক থেকে সবথেকে শক্তিশালী দেশ ছিল চীন। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি হিসাবে জিনপিং-এর নির্বাচনের পর থেকে তাঁর লক্ষ্য হল বিশ্বের এক নম্বর দেশ হতে হবে। চলল সেইমত অত্যাচার। হংকংবাসীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হোক বা তাইওয়ানের উপর অত্যাচার সবকিছুর দিক থেকেই নিচতার শিখরে রয়েছেন চীন সরকার জিনপিং। এমনকি বর্তমানে মহামারি করোনা ভাইরাসের বিস্তারে জন্য সমগ্র বিশ্ব দায়ী করছে জিনপিং-কে। তাঁর এই চলতে থাকা একনায়ক তন্ত্রের উপর ভিত্তি করে খুব শীঘ্রই পৃথিবী থেকে কমিউনিস্ট সরকারের নাম মুছে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর