করোনা মহামারীকে কাজে লাগিয়ে চীন বিস্তারবাদী নীতি চালাচ্ছেঃ জাপান

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাড়তে থাকা করোনা সংকটের মধ্যে চীন (China) কিন্তু তাঁর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জমি দখল থেকে শুরু করে, সীমানা অধিগ্রহণ, সবেতেই জারী রয়েছে চীনের দাদাগিরি। এই সংকটের মধ্যেও জাপান (Japan) সরকার দিচ্ছে এক দুঃসংবাদ। পূর্ব চীন সাগরে বেশ কিছু অঞ্চল চীন সরকার নিজেদের বলে দাবী করছে। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে (Shinzō Abe) আরও জানিয়েছেন, পূর্ব চীন সাগরের স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। ওই অঞ্চলের বেশ কিছু দ্বীপ নিয়ে পূর্ব থেকেই সমস্যা জড়িত ছিল।

XCVB2 1

চীনের বিরোধিতা করল আমেরিকাও
সমুদ্র অঞ্চল নিয়ে ঘটা বিরোধের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্ফিও মার্কিন সরকারের সঙ্গে সুর মিলিয়ে সমুদ্র অঞ্চল নিয়ে চীনের দাবিকে অবৈধ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশে বেইজিংয়ের দাবি সম্পূর্ণ অবৈধ বলে বিবেচিত। চীনের বিরোধিতা করায় উভয় দেশের সামরিক অভিযানের বিষয়ে ঝুঁকি বেড়েছে।

এক চুলও জমি দেব না চীনকে
চীনের দূতাবাস জানিয়েছে, মার্কিন সরকার চীন ও অন্যান্য আঞ্চলিক দেশের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চাইছে। তবে এটি কিন্তু চীনের বিরুদ্ধে নেওয়া আমারিকার এখনও পর্যন্ত সবথেকে বড় পদক্ষেপ। মার্কিন সরকার ডোলান্ড ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনকে একটুও সাম্রাজ্য বিস্তার করতে দেবে না। প্রয়োজনে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অংশীদার দেশগুলির সাথে সামুদ্রিক সম্পত্তির অধিকার রক্ষার জন্য এক হয়ে লড়বে।

চীনের বিরোধিতায় সরব বাকী দেশগুলোও
যে অঞ্চলে বেশি খনিজ সম্পদ রয়েছে, চীন সেখানেই ঝাঁপিয়ে পড়ে। দক্ষিণ চীন সাগরে প্রচুর পরিমাণে তেল ও গ্যাস সহ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। তাই চীন সর্বদা সেখানে নিজের অধিকার কায়েম রাখতে চায়। আমেরিকার সাথে থেকে ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম চীনের বিপক্ষে গিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের রক্ষার্থে বিরোধিতা করবে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর