বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীন (Chaina) ছাড়িয়ে করোনা ভাইরাস (COVID-19) বর্তমানে সমগ্র বিশ্বতেই নিজের জাল বিস্তার করে নিয়েছে। পৃথিবীর এখন সব দেশই এই ভাইরাসের থেকে নিষ্কৃতি পাবার উপায় খুঁজতে মরিয়া। ধীরে ধীরে করোনা সংক্রমকের সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কিন্তু এই বিষয়ে চীনের বিন্দুমাত্র কোন ভ্রূক্ষেপ নেই। চীন এখন এই সংকটের পরিস্থিতিতে নিজেদের ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তায় মগ্ন।
বিভিন্ন দেশকে নিজে থেকে চীন তাঁদের চিকিৎসা দ্রব্য বিক্রি করছে। কিন্তু চীনের রপ্তানি করা এইসব চিকিৎসা দ্রব্য নিয়েও অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। নেপালেও (Nepal) চীন তাঁদের চিকিৎসা দ্রব্য রপ্তানি করেছিল। বন্ধু দেশ নেপালকেও অন্যান্য দেশের মতই নিম্নমানের চিকিৎসা দ্রব্য বিক্রি করেছিল চীন। আগে থেকেই চীন তাঁদের অন্যান্য সব নিম্নমানের জিনিস রপ্তানির জন্য কুখ্যাত ছিল চীন। আর এখন নিম্নমানের চিকিৎসা দ্রব্য রপ্তানি করে, তাঁদের নাম আরও খারাপ করছে চীন। নেপালের আগে ইউক্রেন, স্পেন এবং তুর্কিও চীনের রপ্তানি করা নিম্নমানের চিকিৎসা দ্রব্য ফিরিয়ে দিয়েছিল।
নেপালে পাঠানো নিম্নমানের চিকিৎসা দ্রব্য তারা এখন চীনকে ফেরত দিতে চাইছে। চীন কিন্তু ব্যবসার দিক থেকে বন্ধু দেশকেও রেহাই দেয়নি। নেপালকেও চড়া দামে বিক্রি করেছিল ওইসব চিকিৎসা দ্রব্য। বর্তমানে নেপাল চীনের চালাকি বুঝতে পেরে, নেপাল সরকার চীনের পাঠানো প্রায় ৬ লক্ষ ইউএস ডলারের নিম্নমানের রেপিড টেস্ট কিটের ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে।
সম্প্রতি নেপাল একটি চ্যাটার্ড বিমানকে চীন থেকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ৭৫ হাজার টেস্ট কিট আমদানীর জন্য পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেই টেস্ট কিট নেপালের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখেন একটি কিটও ব্যবহার যোগ্য নয়, সবই নিম্নমানের। এই বিষয় সামনে আসার পর নেপাল সরকার ওই কিটের ব্যবহার বন্ধ করে দেন। শুধু তাই নয়, চীনের ওই মেডিকেল কোম্পানির সঙ্গে সবরকম ব্যবসায়িক চুক্তি লঙ্ঘন করে দেয় নেপাল সরকার এবং তাঁদের ব্ল্যাক লিস্টের অন্তর্ভুক্ত করে দেয়। চীন এই সংকটের সময়ে মানবিকতা না দেখিয়ে তাঁদের ঘৃণ্য রূপ দেখানোয় নেপাল ক্ষিপ্ত হয়।