বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পড়শি দেশ চিন (China) চুপিচুপি তার সবচেয়ে আধুনিক সাবমেরিন লঞ্চ করেছে। মূলত, সেটি একটি ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন। যা পিপলস লিবারেশন আর্মি-নেভির (PLAN) আন্ডারওয়াটার ফ্লিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বলা হচ্ছে যে, এটি Type-039A/B/C ক্লাসের সাবমেরিন। যেটিকে ন্যাটো ইউয়ান ক্লাস সাবমেরিন বলা হয়ে থাকে।
নতুন সাবমেরিন লঞ্চ করল চিন (China):
জানিয়ে রাখি যে, চিনা (China) নৌবাহিনীর ৪৮ টি ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন রয়েছে। যার মধ্যে ২১ টি সাবমেরিন ৩,৬০০ টন ডিসপ্লেসমেন্ট বিশিষ্ট টাইপ-039A/B ক্লাসের। তবে নতুন যেটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা হল Type-039C টাইপের। এটির ডিজাইনও অত্যন্ত স্টেলথি। অর্থাৎ এটি নিঃশব্দে আক্রমণ করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত পারদর্শী। এই সাবমেরিন লঞ্চিং গত এপ্রিলে উচাং শিপইয়ার্ডে হয়েছিল। পাশাপাশি, এটির সামুদ্রিক ট্রায়ালও সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এই সাবমেরিন অ্যান্টি-শিপ মিসাইল নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখে। পেন্টাগন অনুমান করছে যে, চিন (China) এই জাতীয় আরও ২৫ টি সাবমেরিন তৈরি করবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করবে। এই সাবমেরিনটি ৮৩ থেকে ৮৫ মিটার অর্থাৎ ২৭২ থেকে ২৭৯ ফুট লম্বা বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে ইউয়ান ক্লাসের সাবমেরিন ৭৭ মিটার লম্বা।
এই সাবমেরিনের স্টার্নও ভিন্ন আকৃতির: এই সাবমেরিনের স্টার্নটিও দেখতে “X”-এর মতো। তার মানে এর মুভমেন্ট সহজ এবং নিয়ন্ত্রিত হবে। পাশাপাশি, জলের ভেতরের শব্দও কমে যাবে। এদিকে, চিনের (China) ইউয়ান ক্লাসের সাবমেরিনে এই ধরণের স্টার্ন থাকে না। এছাড়াও এই সাবমেরিনে অ্যান্টি-শিপ মিসাইল স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আর মিলবে না রেহাই! অনিল আম্বানির পর এবার এই বিজনেসম্যানকে নিষিদ্ধ করল SEBI, সামনে এল কারণ
আমেরিকা ও চিনের নৌ শক্তি: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, নৌবাহিনীর দিক থেকে বিশ্বে চিনের (China) স্থান দ্বিতীয়। যেখানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে আমেরিকা। চিনে বর্তমানে ৩ টি এয়ারক্রাফ্ট কেরিয়ার রয়েছে। আমেরিকার রয়েছে ১১ টি। এক্ষেত্রে আমেরিকা বিশ্বে এক নম্বরে রয়েছে। এদিকে, চিনের ৩ টি হ্যালো ক্যারিয়ার রয়েছে। মানে হেলিকপ্টারের জন্য। যেখানে আমেরিকার আছে ৯ টি।
আরও পড়ুন: ফুল চার্জে আদৌ কি ৫৮৫ কিমি ছুটতে পারে Tata Curvv EV? পরীক্ষা করতেই সামনে এল “আসল সত্য”
এছাড়াও, সাবমেরিনের ক্ষেত্রে চিন (China) আমেরিকার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে। চিনের কাছে রয়েছে ৬১ টি এবং আমেরিকার রয়েছে ৬৪ টি সাবমেরিন। এদিকে, চিনের ৪৯ টি বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ রয়েছে রয়েছে। অপরদিকে, আমেরিকার কাছে রয়েছে ৭৫ টি যুদ্ধজাহাজ। তবে, চিনের কাছে রয়েছে ৪২ টি ফ্রিগেট। কিন্তু, আমেরিকার কাছে একটিও নেই। এছাড়াও, চিনে ৭২ টি করভেট রয়েছে। যেখানে আমেরিকার রয়েছে ২৩ টি করভেট।