লাদাখের পর এবার ভুটান! সীমান্ত পেরিয়ে ৪০ কিলোমিটার ঢুকে পড়েছে চীনের সেনা

হিমালয়ের কোলে ভারতের (india) ছোট্ট প্রতিবেশি ভুটানও (bhutan) এবার চীনের (china) বিষ নজরে। লাদাখের পর পশ্চিম ভুটানেও ইতিমধ্যেই গোলমাল শুরু করে দিয়েছে বেজিং। বরাবরই ভুটান ভারতের মিত্র দেশ। সে দেশের সীমান্ত পাহাড়াও দেয় ভারতীয় সেনা। তাই এই আগ্রাসনে ভারতের মাথাব্যাথার কারন রয়েছে।

759042 XiJingpingAFP 1410066939

এর আগে ভারত, চীনের মধ্যে ডোকালাম নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। কয়েকদিন চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনো পক্ষই আক্রমণ করে নি। সেই উত্তেজনারও মূল কারন ছিল ভুটানে চীনের আগ্রাসন। চিন দাবি করে আসছে ভুটানের পশ্চিম প্রান্তের ৩১৮ বর্গ কিলোমিটার ও মধ্য ভুটানের সীমান্ত বরাবর ৪৯৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা তাদের।

জানা যাচ্ছে, ২০১৭ সালে ডোকালাম পরিস্থিতির পরও ঐ এলাকায় চীনের গতিবিধি কমেনি। সেনা চলাচলের জন্য এই এলাকাগুলিতে নতুন রাস্তাও বানিয়ে ফেলেছে চীন। অভিযোগ, অন্তত ৫ টি জায়গায় ৪০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে পড়েছে লাল ফৌজ। সেখানে তৈরি করছে হেলিকপ্টার নামাবার হেলিপ্যাড ও ভারী যান চলাচলের রাস্তা। ১৩ আগস্টের পর লাদাখের মতই তোর্সা নালা পার করে ভুটানে ঢুকে পড়েছে চীনা সেনা।

প্রসঙ্গত, ২৯-৩০ আগস্টের রাতে প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে ভারতীয় সেনার পদক্ষেপে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে চীন। ওই এলাকায় ভারত সামরিক দিক থেকে এগিয়ে যাওয়া সাথে সাথে প্রথমবার ৬২ এর যুদ্ধের পর ভারত কৈলাস পর্বত মালায় নিজের দখল জমানোর জন্য বড়সড় সুযোগ পেয়ে গিয়েছে।

২৯-৩০ আগস্ট রাতে ভারতীয় সেনা প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে প্রায় ৬০-৭০ কিমি এলাকা নিজেদের অধীনে করে নেয়। চুশুল সেক্টরের অন্তর্গত এই এলাকার গুরং হিল, মগর হিল, মুখপরি আর রেচিন-লা পাস কৈলাস রেঞ্জের অংশ। ১৯৬২ এর ভারত-চীন লড়াইয়ের আগে এই গোটা এলাকা ভারতে ছিল। কিন্তু ৬২ এর যুদ্ধে রেজাংলা আর চুশুল থেকে ভারত আর চীনের সেনা পিছিয়ে যায়। আর এরফলে এই এলাকা পুরোপুরি খালি হয়ে যায়৷

 


সম্পর্কিত খবর