আমেরিকায় ক্ষমতা পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে চীন খুশিতে মেতে উঠেছিল। তবে এই খুশি বেশি সময় স্থায়ী হলো না। কারণ আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন স্পষ্ট করেছেন যে ভারত উনার সরকারের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু দেশ। তাই সরকার পরিবর্তন হলেও এর প্রভাব সম্পর্কের উপর পড়বে না।
অন্যদিকে নব নির্বাচিত আমেরিকার সুরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন কড়া শব্দে চীনের উপর আক্রমণ করেছেন। অস্টিন বলেছেন চীনের দাদাগিরি বরদাস্ত করা যাবে না। আমেরিকার নতুন সরকারের তরফ থেকে যে বার্তা আসছে তা পরোক্ষভাবে ভারতের পক্ষেই। আর এই কারণে রীতিমতো ঘুম ভেঙেছে চীনের।
চীনের মধ্যে সবথেকে বড়ো যে ভয় কাজ করছে তা হলো তিব্বত ইস্যু। চীনের ধারণা তিব্বত ইস্যুতে ভারত চীনকে ঘিরে ফেলতে পারে এবং এক্ষেত্রে আমেরিকা নিঃসন্দেহ ভারতের পক্ষ নেবে। চীন তাদের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসে লিখেছে- ‘কিছু ভারতীয় বিশেষজ্ঞ ভারত সরকারকে আমেরিকার সাথে মিলে তিব্বত কার্ড খেলার জন্য বলেছে। যদি ভারত এমনটা করে তাহলে দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়ে পড়বে।’
সোজা ভাষায় গ্লোবাল টাইমসের দাবি, তিব্বত চীনের অংশ এবং এক্ষেতে কারোর দখলদারি তারা মেনে নেবে না। চীনের এই লিখনী তখন সামনে এসেছে যখন জো বিডেন সরকারের একের পর এক মন্ত্রী আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মুখ খুলেছেন। আমেরিকায় রক্ষা মন্ত্রী বলেছেন যে আমেরিকায় আক্রমকতার উপর পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। রক্ষামন্ত্রীর তরফ থেকে এই ধরনের মন্তব্য চীনকে ভারতের।বিরুদ্ধে বিষ উগরাতে বাধ্য করেছে।