বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে তালিবান। ইতিমধ্যেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। তারপর এখন কাবুলে কার্যত সরকার গঠন সময়ের অপেক্ষা। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুলি তালিবান সরকারকে সমর্থন দেবে কিনা, সেটাই ছিল বড় প্রশ্ন। একদিকে যেমন ভারত-আমেরিকা জানিয়ে দিয়েছিল, জোর জুলুম করে আনা তালিবান সরকারকে সমর্থন করবে না তারা। তেমনি অন্যদিকে এবার অবস্থান স্পষ্ট করল চীন।
তবে বৈরিতা নয়, খবর অনুযায়ী বন্ধুতার হাতই বাড়িয়ে দিতে চায় চীনের শি জিংপিং সরকার। পরিবর্ত পরিস্থিতিতে তালিবানের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতেই উদ্যোগী লাল ড্রাগন। এই উদ্যোগ অনেককে বেশ আশ্চর্য করেছে ঠিকই। তবে এছাড়া অন্য কোনো উপায়ান্তর দেখছে না চীন। তাদের তরফে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, নতুন সরকারকে মান্যতা দিতে চলেছে তারা। চীনের মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চানিয়েং জানিয়েছেন, চীনের দূতাবাস নিয়েও কোন সমস্যা নেই। আফগানিস্থানে চীনা কর্মীদের উপর নজর রাখা হয়েছিল। তবে সেখানেও কোন সমস্যা তৈরি হয়নি বলেই খবর।
চীন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করায় ভারত অবস্থান বদলাবে কিনা তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। যদিও এ বিষয়ে ভারতের প্রতি সরাসরি বার্তা দিয়েছে তালিবান। তালিবানের মুখপাত্র শাহিন সুহেইল বলেন, “আমরা নিশ্চিত ভারতও একদিন নিজেদের অবস্থান বদলাবে। এতদিন চাপিয়ে দেওয়া সরকার চলছিল আফগানিস্তানে। এবার সেই সরকার মুখ থুবড়ে পড়েছে। জানি তাদের সমর্থক ছিল ভারত। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতও অবস্থান বদলাবে।”
অন্যদিকে রবিবারই নিজেদের অবস্থান খানিকটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন গ্রেট ব্রিটেনও। তারা জানিয়ে দিয়েছে, বর্তমানে আফগানিস্তানে দখল নিয়েছে তালিবান এই সত্য মেনে নিয়েছেন তারা। কারণ এ ছাড়া আর কোন উপায় নেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মার্কিন সৈন্য বাহিনী ফিরে যাওয়ার পরেই আফগানিস্তানে সক্রিয় হয়ে ওঠে তালিবান। এ প্রসঙ্গে জো বাইডেন বারবার সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তার অবস্থানে তিনি অনড়।