বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসকে (COVID-19) কেন্দ্র করে বিগত কয়েকদিন ধরে চীন (China) তাঁদের সাম্রাজ্যবাদী মনভাবকে সম্পূর্ণ করার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। দক্ষিণী চীন সাগরে হামলার মাধ্যমে এই মানসিকতার প্রামাণও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু জাপানে (Japan) হামলা করার পরিকল্পনা সম্পূর্ণ ধূলিস্মাৎ হয়ে যায় ড্রাগনের।
জাপানের পাল্টা জবাবে চীন জাহাজ স্থান পরিত্যাগ করে
পূর্ব চীন সাগরে চীনের এক শক্তিশালী জাহাজকে জাপানের এক দ্বীপের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে দেখা যায়। যার দ্বারা চীন নিজের আধিপত্য বিস্তারের দাবী জানায়। চীনা জাহাজ যখন জাপানের স্থানীয় ফিসিং বোর্টের পিছু নিতে শুরু করে, তখন জাপানের নৌসেনা তৎকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে পেট্রোলিং জাহাজ পাঠায়। এবং এক রেডিও সতর্কতা বার্তাও প্রেরণ করে। যার ফলে, চীনা জাহাজ সেই স্থান পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
তাইওয়ানের উপর চীনের হামলা
পূর্বেও চিনি সাগরের বেশ কয়েকটি দ্বীপ প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ থাকার কারণে চীন এবং জাপানের মধ্যে দ্বীপের আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ জারী আছে। আগে একবার চীন দক্ষিণী চীন সাগরে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য সম্পূর্ণ চেষ্টা করেছিল। এমনকি তাইওয়ানের পূর্ব দিশায় চীনের দুই মিসাইলের শক্তি প্রদর্শন করতেও দেখা গিয়েছিল। তাইওয়ান সরকার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ করেছিলেন, চীন সরকার তাইওয়ানের মৎসজীবিদের শুধু অপমানই করেনি, তাঁদের বেসিলসকেও নিশানা বানিয়েছিল।
বিভিন্ন দেশের উপর দাদাগিরি দেখাচ্ছে চীন
শুধুমাত্র তাইওয়ানই নয়, মালেয়শিয়া, ভিয়েতনাম এমনকি জাপানের সঙ্গেও বর্তমানে চীন সরকার অত্যন্ত রূঢ় ব্যবহার করছে। তাইওয়ানের পাশাপাশি চীনের নৌসেনা মালেয়শিয়াতেও অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। ফিলিপিন্সের অধিকার ক্ষেত্রের অংশকে নিজেদের অংশ বলায়, চীন সরকার সমস্ত নীচতার সীমা অতিক্রম করে ফেলে। সাম্রাজ্যবাদী নিতিকে জারী রেখে তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামের এলাকাতেও কবজা করতে শুরু করে দিয়েছে।
চীনের অত্যাচারের জবাব দিচ্ছে ভিয়েতনামও
অত্যাচারের বদলায় পাল্টা জবাব দিতে একদমই সময় নষ্ট করে না ভিয়েতনাম। পার্সেল দ্বীপ তাইওয়ান এবং ভিয়েতনাম দুজনেই তাঁদের অংশ বলে,মনে করে। কিন্তু চীন সরকার এই দ্বীপকে তাঁদের অংশ হিসাবে ঘোষণা করে দেয়। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে ভিয়েতনামের বিদেশমন্ত্রালয়ের প্রবক্তা লে থি থুয়াং চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, চীনের এই পদক্ষেপ বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের জন্য একদমই সঠিক বিচার নয়। চীনের পদক্ষেপের মাধ্যমে ভিয়েতনামের সম্প্রদায়কে অসম্মান প্রদর্শন করে। আশা করব, চীন ভবিষ্যতে এই ধরণের পদক্ষেপ আর নেবে না।