বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোটা বিশ্বে শান্তির বার্তা দেওয়া চীনের (China) আসল রুপ অনেকেরই অজানা। চীনে লাগাতার উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচার হয়েই চলেছে। আর এরই মধ্যে চীন তাঁদের দেশে থাকা মুসলিমদের কণ্ঠ রোধ করার জন্য আরও একটি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এবার চীন নিজের ইচ্ছেমত কোরআন আর বাইবেল লিখতে চলেছে।
উল্লেখ্য, ডেইলিমেইল এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির এক বরিষ্ঠ নেতা বলেছেন যে, কোরআন আর বাইবেলের নতুন সংস্করণে কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শ বিরোধী কোন কথা লেখা থাকবেনা। উনি বলেন যে, যেই প্যারাগ্রাফে ভুল বোঝানো হয়েছে, সেটিকে হয়ত মুছে ফেলা হবে, নাহলে নতুন করে লেখা হবে।
এর মানে পরিস্কার যে, কোরআন আর বাইবেলের নতুন সংস্করণে এমন কোন প্যারাগ্রাফ থাকবে না, যেটা কমিউনিস্ট পার্টির বিচারধারার সাথে মিল খায়না। যদি কন্টেন্ট আর প্যারাগ্রাফে কোন জিনিষ ভুল লেখা হয়, তবে হয়ত সেটিতে সংশোধন করা হবে, নাহলে সেটিকে বদলে ফেলা হবে। অবাক করা কথা হল, এই আদেশ ন্যাশানাল কমিটি অফ দ্য চাইনা পলিটিক্যাল কন্সাল্টিভ কনফারেন্সের জাতীয় আর ধার্মিক সমিতির একটি বৈঠকে পাস করানো হয়েছে। এই সমিতি চীনে জাতীয় আর ধার্মিক মামলা গুলো দেখে।
যদিও যেই আদেশ জারি করা হয়েছে, সেটাতে বিশেষ রুপে বাইবেল আর কোরআনের উল্লেখ স্পষ্ট ভাবে নেই। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভাবে ইঙ্গিত করছে যে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি দ্বারা এইরকম ধর্ম শাস্ত্র গুলোকে ব্যাপক মুল্যায়ন করার কথা বলা হয়েছে। চীনে উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচারের সীমা পার করে দেওয়ার খবরের মধ্যেই এই খবর উঠে আসছে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মুসলিমদের জোর করে জেল খানায় বন্দি করা হচ্ছে, তাঁদের পরিবারকে আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি কয়েক জায়গায় তাঁদের জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করার রিপোর্টও উঠে আসছে।
উইঘুর মুসলিমদের উপর করা চীনের অত্যাচার গোটা দুনিয়ার সামনে এসেছে। সম্প্রতি আমেরিকার সংসদে উইঘুর মানবাধিকার নীতি বিল পাস করা হয়েছে। ওই বিলে চীনে নজরবন্দি থাকা ১০ লক্ষ উইঘুর মুসলিম আর অন্যান্য মুসলিমদের কাছে যথা সম্ভব সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার কথা উল্লেখ আছে।