বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীন (Chaina) ছাড়িয়ে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে মারণরোগ করোনা ভাইরাস (COVID-19)। স্পেনের পর এই রোগে আমেরিকায় বিশাল আকার ধারণ করেছে। কিন্তু এই সময় চীন বিভিন্ন দেশে নকল চিকিৎসা দ্রব্য এবং টেস্টিং কিট (Testing Kit) বিক্রি করেছিল। যার ফলে এখন সেই সমস্ত নকল চিকিৎসা দ্রব্য চীনকে ফেরত দিতে শুরু করে দিয়েছে ওই দেশগুলো। বর্তমানে কিছু দেশকে এখন চীনের বিরুদ্ধে একত্রিত হতে দেখা যাচ্ছে।
নেদারল্যান্ড, স্পেন, তুর্কি এইসব দেশ চীনকে তাঁর সামগ্রী ফিরিয়ে দিচ্ছে। এপ্রসঙ্গে চীন থেকে আগত নিম্নমানের চিকিৎসা দ্রব্য যেমন- ফেস মাস্ক নেদারল্যান্ড আবার চীনকে ফিরিয়ে দিয়ে চাইছে। নেদারল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রালয় গত শনিবার জানায়, ‘আমাদের দেশের আধিকারিকরা চীনের পাঠানো ৬০০ হাজার ফেস্ক মাস্ক পুনরায় চীনের পাঠানোর ব্যাবস্থা করছি। কারণ এগুলো গুণগত দিক থেকে অত্যন্ত নিম্নমানের’। চীনের এই নিম্নমানের দ্রব্য সামগ্রী পাঠানোতে নেদারল্যান্ডের চিকিৎসকরা খুব অবাক হয়েছিলেন।
একই ভাবে চীন থেকে যেসমস্ত টেস্টিং কিট আমদানি করেছিল স্পেন, তা এখন স্পেনের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এই টেস্টিং কিটের ফলেই স্পেনে করোনা ভাইরাস ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ে। চীন থেকে প্রায় ৬ লক্ষেরও বেশি টেস্টিং কিট নিয়েছিল স্পেন। আমদানি করার পর স্পেন জানতে পারে এই টেস্টিং কিটের অ্যাকুইরোসিস লেভেল মাত্র ৩০ শতাংশ। এর ফলে চীনকে তাঁদের দেওয়া নিম্নমানের টেস্টিং কিট ফেরত নিতে বলেছিল স্পেন।
এখানেই শেষ নয় চীন তাঁদের এই নিম্নমানের টেস্টিং কিট আরও বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেছিল। যার জেরে একটি দেশের অনেক ক্ষতি হয়। এইভাবে তুর্কি এবং মালেয়শিয়ার চিকিৎসকরাও চীনের থেকে আমদানি করা টেস্টিং কিট ফিরিয়ে দেয়। এর ফলে বর্তমানে ‘মেড ইন চায়না’ এর জিনিস সমগ্র দেশে তাঁদের নাম খারাপ করছে।
সমগ্র বিশ্ব যখন করোনা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে, তখন চীন এইসব নকল এবং নিম্নমানের টেস্টিং কিট বিক্রি করে তাঁদের অর্থনৈতিক বিভাগ মজবুত করছে। কিন্তু এই সব দেশের একত্রিত হয়ে চীনের জিনিস ফিরিয়ে দেওয়ায়, তাঁরা চীনের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। চীন এর আগেই করোনা ভাইরাসের বিষয়ে আমেরিকাকে দোষারোপ করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমেরিকা চীনকে নিজের জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছে।