বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছদ্মবেশে ভারতে লুকিয়ে রয়েছে চিনা গুপ্তচর (China Spy)! দিল্লি পুলিসের (Delhi Police) পক্ষ জানা যায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় তিব্বতের রিফিউজিদের মধ্যে বসবাস করছেন এক চিনা মহিলা। গত তিন বছর ধরে সন্ন্যাসিনী পরিচয়ের আড়ালে কাজ করছিলেন তিনি। গত সোমবার তাঁকে আটক করে দিল্লি পুলিস। তদন্ত শুরু করতেই জানা যায়, বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশ ধরে ভারতে বাস করতেন থাকতেন ওই মহিলা। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু ভুয়ো পরিচয়পত্রও পাওয়া যায় বলে পুলিসের তরফ থেকে জানা যায়।
দিল্লি পুলিসের (Delhi Police) বিশেষ সূত্রের খবর, রহস্যময়ী ওই মহিলার নাম কাই রুয়ো। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তিব্বতি রিফিউজি কলোনিতে থাকতেন তিনি। স্থানীয়দের মধ্যে তিনি দোলমা লামা নামে বেশি পরিচিত। গত ২০১৯ সাল থেকে বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনীর বেশ ধরেই ভারতে রয়েছেন তিনি। বিশেষ সূত্র মারফত দিল্লি পুলিস জানতে পারে, ভুয়ো পরিচয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভারতে রয়েছেন ওই মহিলা। সন্দেহভাজন হিসাবেই তাঁকে আটক করে পুলিস। তারপর তদন্তে উঠে আসে এই তথ্য।
জেরার পরে জানা যায়, তাঁর প্রকৃত নাম কাই রুয়ো। দিল্লি পুলিসের কাছে তিনি জানান, চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল। নিজেকে বাঁচাতেই তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন কিনা, তা অবশ্য স্বীকার করেননি ওই চিনা মহিলা। তবে তাঁর বক্তব্য খতিয়ে দেখতে প্রচুর নথিপত্র তদন্ত করে দেখছে দিল্লি পুলিস। সেখানেই জানা যায়, চিনা পাসপোর্ট নিয়ে ২০১৯ সালে ভারতে আসেন কাই রুয়ো।
দিল্লি পুলিসের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ভারত-বিরোধী কার্যকলাপেও জড়িত রয়েছেন এই চিনা মহিলা। তাঁর লক্ষ্য ছিল নতুন দলাই লামাকে চিনের পক্ষে আনা। হিমাচল প্রদেশে থেকে মোট ১৫ থেকে ২০ জন তিব্বতী গুরুর সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলতেন বলে জানা যায়। শুধু তাই নয়, পরিচয় পালটে নেপালের নাগরিক হিসাবে সমস্ত কাগজপত্রও তৈরি করে ফেলেছিলেন তিনি। দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা এই ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে।
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…