ভারতের সুরক্ষা বাজেট দেখে মাথায় হাত চীনের, শুরু করল সমালোচনা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি ভারতে (india) নতুন বছরের প্রথম বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ভারতের বাজেট নিয়েও টুপ্পুনি করতে ছাড়ল না চীন (china)। ভারতের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর জিনিসের বিষয়েও যখন নাক গলাতে ছারেনন না চীন সরকার জিনপিং, তখন ভারতের প্রতিরক্ষা খাতের বাজেট পেশ হওয়ার পর সে কি করে চুপচাপ বসে থাকে? শুরু করল সমালোচনা।

ভারত-চীন সীমা বিবাদের মধ্যেই পেশ হয়েছে চলতি বছরের ভারতের আর্থিক বাজেট। এই পরিস্থিতিতে চীন সমালোচনা করবে না, সেটা কি করে সম্ভব! গত ২ রা ফেব্রুয়ারী রাত ৯ টা বেজে ৫৩ মিনিটে চীন সরকারের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসে ভারতের বিষয়ে একটি প্রতিবেদিন প্রকাশিত হয়। যেখানে লেখা হয়- প্রতিরক্ষাখাতে অর্থ বাড়িয়ে আধুনিকমানের হাতিয়ার কিনেও, ভারতীয় সেনারা কোনভাবেই এগোতে পারবে না।

shi jinping

প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়, যখন ভারতের অর্থব্যবস্থা ৭.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, ঠিক সেই সময় ভারত প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি করেছে। চীনের সঙ্গে সংঘর্ষের মাঝে ভারত সুরক্ষাখাতে বেশি অর্থ প্রদান করেছে। ভারত যদি শুধুমাত্র নিজের ক্ষমতা দেখানোর জন্য সুরক্ষাখাতে অর্থ বাড়িয়ে যায়, তাহলে তার ঘাটতি গিয়ে পড়বে ভারতের অর্থ ভাণ্ডারে। তখন ভারতকে অন্যের থেকে ঋণ নিতে হবে।

চীনা মিলিটারি এক্সপার্স্টদের মতানুসারে, করোনা মহামারির কারণে ভারতের অর্থনীতি ভীষণভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেই কারণে সুরক্ষাখাতে ভারত বেশি অর্থ ব্যয় করতে পারবে না। তবুও যেটুকু বৃদ্ধি করেছে, তার ফলে ভারতের অর্থনীতিতে চাপ পড়বে। আমেরিকা, রাশিয়া, ইজরায়েল এবং ফ্রান্সের থেকে শুধু হাতিয়ার কিনলেই ভারতের সৈন্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে না।

117669 indianarmy reuters

সেনা হাতিয়ারের পাশাপাশি সীমান্ত অঞ্চলে ভারত যে নিজেদের ঘাঁটি মজবুতের দিকে মনোনিবেশ করেছে, আর্থিক সংকটের ফলে সেখানেও সমস্যা তৈরি হবে। ভারত যদি শুধুমাত্র সেনা ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিদেশের থেকে হাতিয়ার কিনতে থাকে, তাহলে একটা সময় ভারত ঋণের জালে জড়িয়ে পড়বে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর