বাংলাহান্ট ডেস্ক : তাওয়াং সংঘর্ষ নিয়ে এখনও উত্তপ্ত (Tawang Clash) অরুণাচল প্রদেশ। এই পরিস্থিতিতেই ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বিপুল সংখ্যক যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করছে চিন সেনা (China)। ভারতের একটি উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়েছে বিপুল অস্ত্র মোতায়েনের এই ঘটনা। বিশেষ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধের মহড়া শুরু করেছে লালফৌজ (PLA)। ভারতের আকাশসীমা বরাবর উড়ে বেড়াচ্ছে চিনা যুদ্ধবিমান। তিব্বতের এয়ারবেসগুলিতেও মোতায়েন করা হয়েছে চিনা যুদ্ধবিমান।
তাওয়াং সংঘর্ষের পরই সীমান্ত এলাকায় মহড়া শুরু করে ভারতীয় বায়ুসেনা। তারপরই চিনা যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েনের ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান করা যাচ্ছে। ভারতের সীমান্ত থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে চিনের বাংদা এয়ারবেসে ‘সোরিং ড্রাগন’ নামে একটি মারাত্মক শক্তিশালী ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণত নজরদারির জন্যই এই ড্রোন ব্যবহার করা হয়। টানা দশ ঘণ্টা ধরে ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এই ড্রোনের। সামরিক আক্রমণ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা ও তৎক্ষণাৎ পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে এই ড্রোনে। ভারতের কাছে এতটা শক্তিধর ড্রোন নেই।
ওই উপগ্রহচিত্রে আরও দেখা গিয়েছে, দু’টি ফ্ল্যাঙ্কার ফাইটার জেট মোতায়েন করা হয়েছে বাংদায়। রুশ সু-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারত। ফ্ল্যাঙ্কার বিমানগুলিও একই গোত্রে পড়ে, তবে এই বিমানগুলি চিনের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়। এছাড়া ভারতে আক্রমণ করার জন্য তিব্বতের মাটিতে বিশেষ মহড়া চালাচ্ছে লালফৌজ। প্রায় সাড়ে চার হাজার ফুট উচ্চতায় এই মহড়া চালানো হয়েছে, যেন অরুণাচলের পার্বত্য পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে চিন সেনা।
তাওয়াংয়ের ঘটনার পরই জানা যায়, বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতের সীমানায় চিনা যুদ্ধবিমানের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছিল। আক্রমণের আশঙ্কা থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LaC) বরাবর এলাকায় একাধিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে ভারতীয় বায়ুসেনা। লালফৌজকে বিভ্রান্ত করতে মহড়ার ধরনেও নানা রকমের বদল আনা হয়। শুধু সীমান্তে মহড়াই নয়, অসমের তেজপুর, ছাবুয়ায় সুখোই-৩০ বিমানও মোতায়েন করা হয় বলে জানা যায়। এছাড়া গোটা অসম সীমান্তেই মোতায়েন রয়েছে এস-৪০০।