বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারত এবং চীনের (china) সীমানার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে মায়নমার (Myanmar)। এই দেশের উপর ভারতের যতটা অধিকার রয়েছে, ঠিক ততোটাই চীনের আধিকারও রয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মায়নমারের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। তবে মায়নমারের এই উত্তেজিত পরিস্থিতিতে কোনভাবেই সেখানকার সেনা প্রাধান্যকে কখনই ভারত সমর্থন করছে না।
সীমানার দিক থেকে দেখতে গেলে ভারত যেমন মায়নমায়ের একদিকে রয়েছে, তেমনই অন্যদিকে রয়েছে চালবাজ চীন। ভারত যেমন আবারও মায়নমারে লোকতান্ত্রিক প্রধান্য ফিরিয়ে আনার পক্ষে রয়েছে, তেমনই অন্যদিকে চীন চাইছে মায়নমারে এভাবেই সেনা শাসন বজায় থাকুক।
মায়নমারের সেনা শাসনের পেছনে চীনের হস্তক্ষেপ রয়েছে বলে মনে করছে মায়নমারের নাগরিকরা। কারণ, সংযুক্তরাষ্ট্র সুরক্ষা পারিষদে মায়নমারের সেনা শাসনের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছিল চীন সরকার। মায়নমারের নাগরিকরা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মায়নমার স্থিত চীন রাষ্ট্রদূত ভবনের বাইরে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। শুধু তাই নয়, চীনা রাষ্ট্রদূতকে চীনে ফেরত যাওয়ার শ্লোগানও দেন তারা।
মায়নমারের নাগরিকদের এই বিক্ষোভ দেখে কিছুটা সুর নরম করেছে চীন সরকার। সংবাদ সূত্রের খবর, চীন সরকার জানিয়েছে- ‘আমরা কখনই মায়নমারের সেনা শাসনের পক্ষে নই। এই কাজের পেছনে আমাদের কোন হস্তক্ষেপ নেই’।
মায়নমারের নাগরিকদের মধ্যে চীন বিরোধী মনোভাব গড়ে ওঠায়, কিছুটা ভয় পেয়ে যায় চীন সরকার। এই পরিস্থিতিতে যদি মায়নমারবাসীদের মনে চীন বিরোধী মনোভাব একবার জাঁকিয়ে বসে, তাহলে ভবিষ্যতে তারা ভারতের পক্ষে চলে যাবে। যা কোনভাবেই মেনে নিতে পারবে না চীন সরকার। সেই কারণে কিছুটা সুর নরম করে মায়নমারের নাগরিকদের পক্ষে সোচ্চার হয়েছে চীন সরকার।