বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারত (India) বিদেশী বিনিয়োগের (FDI) ক্ষেত্রে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায়, বিপাকে পড়েছে চীন। করোনার সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে চীন যাতে, ভারতে বিস্তার লাভ না করতে পারে, তাই এই সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতিবিরোধী অভিযোগ করেছে চীন।
এফডিআই-র নতুন নিয়মের আওতায় এখন, ভারতের সীমান্তে সংযুক্ত যে কোনও দেশের নাগরিক বা সংস্থাগুলিকে বিনিয়োগের আগে সরকারের অনুমোদন নিতে হবে। পূর্বে কেবল পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নাগরিক এবং সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে ভারত সরকারের অনুমোদনের দরকার ছিল। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে চীনকে কোণঠাসা করতে ভারত সরকার এফডিআই বিধি কঠোর করেছে। এই বিষয়ে দিল্লীতে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছিলেন, “আমরা আশা করি যে ভারত তার বৈষম্যমূলক নীতিটি সংশোধন করবে এবং সমস্ত দেশের বিনিয়োগের জন্য একই নিয়ম তৈরি করবে।”
এই বিষয়ে গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই ঘটনার ফলে চীন ভারতীয় কোম্পানিগুলি দখলে নিয়ে এবং কিছু ভারতীয় ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবার ভারত ওষুধ তৈরির জন্য প্রচুর পরিমাণে কাঁচামাল আমদানি করে চীন থেকে। এই ব্যবস্থার পর চীন ওই রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে, ভারতে সংকট দেখা দেবে। এবং চীনে ভারতের বিনিয়োগও ক্ষতিগ্রস্থ হবে’।
গ্লোবাল টাইমস আরও লিখেছে যে, ভারতের বদ্ধ দরজা চীনা সংস্থাগুলির জন্য সুযোগের দ্বিতীয় উইন্ডোও খুলতে পারে। অনেক চীনা সংস্থা মহামারীটি শেষ হওয়ার পরে নিজেদের ব্যবসা বিদেশে প্রসারিত করতে চায় এবং তারা এর জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলিতে যেতে পারে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন ভারত যদি চীনা কোম্পানির জন্য অনিরাপদ প্রমাণিত হয়, তবে তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলিতে চীন থেকে সহায়তা নিতে আগ্রহী যারা তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করবে।