বাংলা হান্ট ডেস্ক : চীনে (China) উইঘুর মুসলিমদের (Uyghur Myslims) উপর অত্যাচার চলছেই। সে দেশের শিনজিয়াং প্রদেশ বসবাসকারী উইঘুররা মুসলিম ধর্মাবলম্বী কোনও আচার অনুষ্ঠান পালন করতে পারবে না। এই প্রদেশে প্রায় ৩৫ লক্ষ উইঘুর মুসলমান বাস করে। এদের সকলেই একরকম বন্দী অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছে। একটি শিবিরে তাদের নজর বন্দী করে রাখা হয়েছে। এই শিবিরের নাম সিসিপি পুন: শিক্ষা কেন্দ্র।
গোটা দুনিয়ার সামনে চীনের ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে অনেক আগেই। পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্ব পালন করা চীন নিজের দেশে কেমন নির্দয়ী ভাবে মুসলিমদের অত্যাচার করছে, তা গোটা বিশ্বের মানুষের অজানা নয়। আরেকটি ব্যাপারও সামনে এসেছে যে, চীনে উইঘুর মুসলিমদের সাথে অত্যাচার জঙ্গি দমনের জন্য না। মুসলিমদের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার শুধুমাত্র ধর্মের নামেই করা হচ্ছে।
চীনের কমিউনিস্ট সরকারের অমানবিকতার শিকার লক্ষ লক্ষ মুসলিমদের অবস্থা বয়ান করা একাধিক ডকুমেন্টে অনেক অবাক করা তথ্য সামনে এসেছে। উইঘুর মুসলিম মহিলাদের শুধুমাত্র হিজাব পড়ার জন্যই ডিটেশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে, আর পুরুষদের দাড়ি রাখার জন্য তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউকে নামাজ পড়ার জন্য, কাউকে তিন এর বেশি সন্তান রাখার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। চীনে উইঘুর মুসলিমদের সাথে হওয়া অত্যাচারের খোলসা করা ডকুমেন্ট গোটা বিশ্বে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা যাচ্ছে, প্রায় ৯০০০০০ উইঘুর শিশুকে তাদের বাবা-মা পরিবার থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। ১৯৪১ সালে শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলমানের সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ। ওই এলাকায় চীনা জনসংখ্যা ম মাত্র ৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে উইঘুর মুসলিমদের সংখ্যা কমে হয়েছে মাত্র ৪২ শতাংশ।
চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় ১২ লক্ষ মুসলিম উইঘুর বাস করে। বিশ্বের আন্তর্জাতিক সংস্থা গুলি অভিযোগ করে আসছে, এসব সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নানা ধরনের নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা জিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। তবে চীন বরাবরের মতই তা মানতে নারাজ।