বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই জো বাইডেনের (Joe Biden) নির্দেশে মার্কিন সেনাবাহিনী একটি সন্দেহজনক চিনা গুপ্তচর বেলুনকে (Chinese Spy Balloon) গুলি করে আটলান্টিক মহাসাগরে নামিয়েছে। মার্কিন ফাইটার জেটের মিসাইলে রীতিমতো কুপোকাত হয়ে গেছে ওই চিনা বেলুন। এদিকে, এই ঘটনার পরেই কার্যত গর্জে উঠেছে চিন (China)। শুধু তাই নয়, আমেরিকার এই পদক্ষেপকে “আন্তর্জাতিক অনুশীলনের গুরুতর লঙ্ঘন” হিসেবেও বিবেচিত করেছে তারা।
এই প্রসঙ্গে গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ওই বেসামরিক বেলুনটি গুলি করার ক্ষেত্রে আমেরিকার সামরিক শক্তি ব্যবহারের বিরুদ্ধে চিন তার তীব্র অসন্তোষ এবং প্রতিবাদ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি চিনের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে, তারা স্পষ্টভাবে চায় আমেরিকা এই ঘটনাটি শান্ত, পেশাদার এবং সংযতভাবে পরিচালনা করুক। শুধু তাই নয়, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জিনপিংয়ের দেশ জানিয়েছে, চিন দৃঢ়ভাবে তার স্বার্থ রক্ষা করবে।
জানিয়ে রাখি যে, আমেরিকা শনিবার দুপুরে দক্ষিণ ক্যারোলিনা উপকূলে আটলান্টিক মহাসাগরে এই চিনা নজরদারির বেলুনটিকে গুলি করে। এই প্রসঙ্গে পিটিআই অনুসারে, একজন সিনিয়র মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের নির্দেশে মার্কিন সেনাবাহিনী স্থানীয় সময় ২ টো ৩৯ মিনিট নাগাদ আটলান্টিক মহাসাগরে একটি চিনা গুপ্তচর বেলুনকে গুলি করে।
“আমি বেলুনটিকে গুলি করে নামাতে বলেছিলাম”: মেরিল্যান্ডে জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমি তাদের বলেছিলাম বেলুনটি গুলি করে নামাতে।” পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, “বুধবার যখন আমাকে বেলুনটির কথা জানানো হয়, আমি পেন্টাগনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটিকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। তারা মাটিতে কাউকে ক্ষতি না করে এটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে, সেটার সঠিক সময় তখনই পাওয়া যায় যখন সেটি সমুদ্রের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল”।
এই প্রসঙ্গে অপর একজন সিনিয়র প্রতিরক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, পেন্টাগন বেশ কিছুদিন ধরেই বেলুনটির ওপরে নজর রাখছিল। গত ২৮ জানুয়ারি সেটি আলাস্কায় প্রবেশ করে। তারপরে, এটি ৩০ জানুয়ারি কানাডার আকাশসীমায় প্রবেশ করে এবং গত ৩১ জানুয়ারি আবার মার্কিন আকাশে প্রবেশ করে। এদিকে, এই বেলুনের মাধ্যমে চিন গুপ্তচরবৃত্তি করছে বলে দাবি করেছিল পেন্টাগন। যদিও, চিন স্পষ্ট করেছে যে এটি একটি সিভিল বেলুন। যেটি আবহাওয়া সম্পর্কিত গবেষণার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল।