বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারত (India) আরও একবার উত্তর-পূর্ব এলাকা নিয়ে মহা চিন্তায় পড়েছে। উল্লেখ্য, ইউরোপের একটি থিংক-ট্যাংক অনুযায়ী, কিছুদিন আগেই মায়ানমার-থাইল্যান্ড (Myanmar) সীমান্তের তাও এলাকায় (Mae Tao region) অবৈধ চাইনিজ হাতিয়ার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (EFSAS) ২৩ জুন Irrawaddy তে প্রকাশিত একটি রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে বলেছে, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে, হাতিয়ার মায়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এই ঘটনায় নয়া দিল্লীতে সিকিউরিটি সার্কেলে চিন্তা বেড়ে গেছে। এই ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, চীন ওই ভারতকে অশান্ত করতেই এই কাজ করছে। থাইল্যান্ডের সংগঠন এই ঘটনাকে ডিপ্লো-সন্ত্রাসবাদ বলে আখ্যা দিয়েছে।”
মায়ানমার থাইল্যান্ড বর্ডারে বাজেয়াপ্ত করার হাতিয়ারের সাথে চীনের লিংকের প্রমাণ করে থিংক ট্যাংক একটি সুত্রের কথা উল্লেখ করে জানায়, এই হাতিয়ার এখন আরাকান আর্মি দ্বারা ব্যবহার করা হচ্ছে না। ইউনাইটেড এবং স্টেট আর্মি আর কোচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির জন্য বানানো এই হাতিয়ার এরকম না। সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফায়ার করতে পারেনা। বাজেয়াপ্ত করা হাতিয়ার আসল আর চীনেই নির্মিত করা হয়েছে।
এই বিষয়ে ২০ জুলাই থাইল্যান্ডে ভারতীয় রাজদূত সুচিত্রা দুরই সেখানকার প্রান্তীয় গভর্নর ইউসিট সম্পুথরত-এর সাথে বৈঠক করে। জানিয়ে দিই, বাজেয়াপ্ত করা হাতিয়ারের বিস্তৃতি তথ্যের জন্য ভারতীয় সুরক্ষা এজেন্সি গুলো মায়ানমারের এজেন্সি গুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেছে।
EFSAS জানিয়েছে, ভারতের নর্থ-ইস্টের সন্ত্রাসীরা যারা কয়েকদশন ধরে মায়ানমারের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে আর আরও একটি গোষ্ঠী যারা মায়ানমারের রাখাইন স্টেটে আছে, এরা ভারতের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভারতের আইন ইস্ট প্রোজেক্টে চীনের রণনৈতিক চিন্তাভাবনার থেকে বেশি শক্তিশালী। আর এই কারণে চীন এই সন্ত্রাসবাদীদের হাতিয়ার দিয়ে সাহায্য করছে।” EFSAS জানিয়েছে যে মায়ানমারে কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তারের জন্য চীন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন গুলোকে হাতিয়ার আর ফান্ড দিচ্ছে।