বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা মহামারী উপহার দিয়ে গোটা বিশ্বকে (World) বিপাকের মধ্যে ফেলে দেওয়া চীন (China) এবার নিজেই নতুন সমস্যায় পড়েছে। দেশে বয়স্কদের জনসংখ্যা লাগাতার বেড়ে যাওয়ায় ঘুম উড়েছে বেজিংয়ের (Beijing)। এমনকি বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার নীতি লাগু হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। এছাড়াও দেশে বিয়ের হারও কমছে। চীনের মন্ত্রক অনুযায়ী, নববিহাহিত দম্পতিদের সংখ্যা ২০২১-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে বড় পতন দেখা দিয়েছে।
মন্ত্রক অনুযায়ী, গত বছরের পরিসংখ্যানের তুলনায় একুশের প্রথম তিন মাসে বিয়ে করার প্রবণতা অনেক কমেছে। রেডিও ফ্রি এশিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বিয়ে করার প্রবণতায় ভাটা শুধু করোনা মহামারীর কারণেই দেখা দেয়নি, এর পিছনে সরকারের নীতি আর প্রতিশ্রুতি পালন না করারও বিষয় উঠে এসেছে। সম্প্রতি চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির যুব সংগঠন সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, বহু তরুণ-তরুণী এখন আর বিয়ে করতে চাইছে না।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ৪৩ শতাংশের বেশি মহিলারা জানিয়েছেন যে, তাঁরা বিয়ে করতে ইচ্ছুক নন। চীনে বিয়ে নিয়ে এই অনিশ্চয়তা দেশের আর্থিক পরিস্থিতির সঙ্গেও যুক্ত, কারণ ধনী শহরের যুবদের মধ্যে ছোট শহরের যুবদের থেকে বেশি বিয়ে করা নিয়ে অনীহা রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, অর্থনীতি যত উন্নত হবে, ততটাই যুবরা বিয়ে না করে একা থাকা পছন্দ করবেন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, যেহেতু দেশে লাগাতার আর্থিক বৃদ্ধি হয়েই চলেছে, ততই যুবদের মধ্যে বিয়ে না করার ইচ্ছে বেড়ে চলেছে। এই রিপোর্টে চীনের রাষ্ট্রপতি জিনপিংয়েরও (Xi Jinping) চিন্তা বেড়ে গিয়েছে। বলে দিই, চীন এর আগে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অনেক চিন্তিত ছিল। কিন্তু এখন তাঁরা চাইছে মানুষ বেশি করে সন্তানের জন্ম দিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এরকমই যদি চলতে থাকে, তাহলে আগামী দিনে চীনে বিপুল পরিমাণে জনসংখ্যা কমে যাবে।