বাংলা হান্ট ডেস্ক : সারা বিশ্ব করোনার (Corona) সাথে লড়াই করে ঘুরে দাঁড়ালেও চিন (China) এখনও যেখানকার সেখানেই। চিনের অর্থনীতি এখন অনেকটাই নড়বড়ে। এমতাবস্থায় সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে পড়শি দেশটির তরুণ প্রজন্ম। চাকরির হাল খারাপ, সাধারণ মানুষের কাছে উপার্জনের রাস্তা বন্ধ (Unemployment In China)। সবে মিলিয়ে ড্রাগনের দাপট এখন কমে এসেছে।
জানা যাচ্ছে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণরা রাস্তায় রাস্তায় হন্যে হয়ে ঘুরছে। ক্রমশ বাড়ছে বেকারত্বের সমস্যা। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই ১ কোটি ১৬ লক্ষ ছেলে মেয়ের স্নাতক পাশ করার কথা। এমতাবস্থায় বেকারের সংখ্যা একলাফে আরও ৮ লক্ষ ২০ হাজার বৃদ্ধি পাবে বলে খবর।
পরিসংখ্যান বলছে, চিনের ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী জনসংখ্যার ২১.৩ শতাংশের হাতে কোনও কাজ নেই। কয়েক মাসেও এই পরিসংখ্যান ছিল ২০ শতাংশ। প্রতি মাসেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বেকারত্বের হার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেকারত্বের পরিসংখ্যান প্রকাশ করার চল চিনে ২০১৮ থেকে। কিন্তু সেই পরিসঙ্খ্যান এত ভয়াবহ, এই প্রথম।
আসলে করোনার সময়ে সরকারের কঠোর নীতির কারণে অনেক সংস্থায় কর্মী ছাঁটাই করা হয়। যার ফলে অনেক মানুষই সেই সময় বেকার হয়ে পড়েন। একই সঙ্গে পতন ঘটে রিয়েল এস্টেট ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সংস্থাতেও। রেটিং এজেন্সি মুডি’স-এর অর্থনীতিবিদ মারফি ক্রুজ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, চিনে চাহিদা কম থাকার কারণেই বেকারত্বের হার বাড়ছে।
মারফি ক্রুজ আরও বলেন, চাহিদা কম মানে কোম্পানিগুলো নিয়োগ কম করছে। তিনি আরও বলেন, চীনা কোম্পানিগুলো এইমুহুর্তে ওয়েট অ্যান্ড সি কৌশল অবলম্বন করছে। তার মতে, বারবার লকডাউনের স্মৃতি এবং সরকারের হঠাৎ হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণেই এই সমস্যায় পড়েছে চিন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতি ৬.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তা অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেকটাই কম। তাদের আশা ছিল কমপক্ষে ৭.১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে চিনের অর্থনীতি। এই বিষয়ে এনবিএসের মুখপাত্র ফু লিংঝুই বলেছেন, “এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত চিনের মোট দেশজ উৎপাদন ২০২২ সালের তুলনায় বছরে ৪.৫ শতাংশ বেড়েছে এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৬.৩ শতাংশ বেড়েছে।”