বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লাদাখে (Ladakh) ভারত-চীনের (India-China) মধ্যে ধীরে ধীরে বিবাদ কম হচ্ছে। গত মাসে গালওয়ান উপত্যকায় হওয়া ঘটনার পর ভারতীয় সেনা আর বায়ুসেনা লাদাখে তৎপর হয়েছে। আর এরমধ্যে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy) চীনকে শিক্ষা দিতে কোমর বেঁধে নেমেছে। সম্প্রতি চীনের নৌসেনা কয়েকটি জাহাজ ভারত মহাসাগরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছি, কিন্তু তাঁরা ভারতের প্রস্তুতি দেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়।
হিন্দুস্তান টাইমস এর রিপোর্ট অনুযায়ী, গালওয়ান বিবাদের পর ভারতীয় নৌসেনা সম্পূর্ণ ভাবে অ্যালার্টে আছে। মুম্বাই, দিল্লি আর বিশাখাপত্তনামের সুত্র অনুযায়ী, লাদাখ সীমান্তে বিবাদের পর নৌসেনা আরও বেশি করে সমুদ্রে মোতায়েন করা হয়েছে। এরপর পূর্ব আর পশ্চিম সমুদ্রে উপকূলে নৌসেনা আক্রমনাত্বক মনোভাব আপন করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পিএলএ নৌসেনার যুদ্ধ জাহাজ বালুচিস্তানের গদর বন্দর থেকে নজরদারি আর রসদ জমা করার কাজ শুরু করেছে। নৌসেনার এক বরিষ্ঠ কম্যান্ডার বলেন, চীনের যুদ্ধ জাহাজ ইন্দোনেশিয়া হয়ে ভারত মহাসাগরে ঢোকার চেষ্টা করছিল, কিন্তু যখন তাঁরা ভারতীয় নৌসেনার প্রস্তুতি দেখে, তখন ফেরত যেতে বাধ্য হয়।
আরেকদিকে চীন মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান,ইরান আর পূর্ব আফ্রিকার বন্দরে কূটনৈতিক চালের মাধ্যমে কবজা করে নিয়েছে। ভারত, আমেরিকা, ফ্রান্স আর ব্রিটিশ নৌসেনাকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই চীন এই কাজ করেছে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মায়ানমারের কিওকপু বন্দরে চীনে ৭০ শতাংশ অংশীদারি আছে। আর এই বন্দর বঙ্গপাসাগরের সাথে যুক্ত। আরেকদিকে দক্ষিণ শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর থেকে চীন ভারত মহাসাগরে নজরদারি চালায়। পাকিস্তানের গদর বন্দর গলফ অফ ওমানের দিকে আছে। আর ইরানের জাস্ক বন্দর পার্সিয়ান গলফের দিকে অবস্থিত।
যদিও এমন না যে, ভারত চীনের এই ষড়যন্ত্রের কথা জানেনা। ভারত চীনের রণনীতি দেখে নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ভারত বেশি জাহাজ কেনার বদলে আন্দামান নিকোবর আর লক্ষদ্বীপে সৈন্য সুবিধা আপগ্রেড করছে। এছাড়াও চীনের ষড়যন্ত্রকে যোগ্য জবাব দিতে ভারত আরব সাগর আর বঙ্গপাসাগরে এয়ারবেসের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করছে।