Bangla Hunt ডেস্কঃ মাত্র ১৫-২০ কিমি দূরে ছিল নিউ ইয়র্ক (New York)। আচমকাই আকাশ থেকে ভেঙ্গে পড়তে থাকল বিশালাকার বস্তু। একটুর জন্য বেঁচে গেল গোটা নিউ ইয়র্ক শহর। করোনার (COVID-19) আতঙ্কের মধ্যেই আরও এক আতঙ্ক গ্রাস করল নিউ ইয়র্ক বাসীর হৃদয়ে। পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেল, চীনের প্রেরিত এক মহাকাশ যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধেয়ে আসে পৃথিবীর দিকে।
করোনার জেরে নির্জনতা এবং হাহাকার বিরাজ করছে নিউ ইয়র্কে
করোনা ভাইরাসের কালো ছায়া গ্রাস করে নিয়েছে সমগ্র আমেরিকাকে। তাঁর মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জাকজমকপূর্ণ শহর নিউ ইয়র্ক সিটি। এক সময়ের কোলাহলপূর্ণ শহরে আজ বিরাজ করছে শুধুই নির্জনতা এবং মানুষের হাহাকার। সমগ্র বিশ্বের মধ্যে শুধুমাত্র আমেরিকাতেই প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ।
চীন রকেট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেঙ্গে পড়ে
লং মার্চ ৫বি নামের এক চীনা রকেট গত সপ্তাহে মহাকাশের উদ্যেশ্যে রওনা হয়েছিল। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই নিজস্ব কক্ষপথে ঘোরার পর রকেটের মূল অংশ যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আবার ফিরে যায় বায়ুমণ্ডলে। এরপরই ঘটে অঘটন। ঘণ্টায় কয়েক হাজার মাইল গতিতে সেই মহাকাশ যানের টুকরো টুকরো অংশ ছিটকে ছিটকে আসতে থাকে পৃথিবীর দিকে। যার একটি বিরাট অংশ আটলান্টিক মহাসাগরে পড়ে এবং অপর কিছু টুকরো পড়ে আইভরি কোস্টের বিভিন্ন এলাকায়, জানায় একাধিক মহাকাশ বিজ্ঞানী।
অল্পের জন্য এযাত্রায় রক্ষা পেল নিয় ইয়র্কবাসী
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা এইসব টুকড় গুলোর মধ্যে সবথেকে ছোট টুকরোটিও একটি বড়সড় বাসের সমান। এরকমই একটি টুকরো ধেয়ে আসে নিউ ইয়র্কের দিকে। তবে অল্পের জন্য বেঁচে যায় নিউ ইয়র্কবাসী। প্রায় ১৫-২০ কিমি দূরে গিয়ে পড়ে একটি খণ্ড। ফের মৃত্যু ভয়ে ভিত হয়ে পড়ে আমেরিকার মানুষজন।
বড়সড় বিপদের হাত থেকে বেঁচে গেল নিউ ইয়র্ক
হার্ভার্ড-এর জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোনাথন ম্যাকডয়েল এই ঘটনার পরবর্তীতে ট্যুইট করে জানান, ১৯৯১ সালে স্যালুয়েট-৭ নিয়ন্ত্রণ হারালে একবার বিরাটাকার মহাকাশ যানের অংশবিশেষ ধেয়ে আসে পৃথিবীর দিকে। এই ঘটনার বেশ কয়েক বছর পর চীনের এই ঘটনায় আতঙ্কিত হল পৃথিবীর মানুষজন। তবে এই চীনা রকেটের খণ্ডাংশ যদি নিউ ইয়র্ক সিটিতে আছড়ে পড়ত, তাহলে এক বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত।
ফিরহাদ হাকিমের কুমন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য! কুণাল বললেন ‘ওই বিপ অংশ…’