বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গুজরাটের (Gujarat) কান্দালা বন্দরে চিনা (Chaina) জাহাজ থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোক্লেভ (Autoclave) পাওয়া যায়। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে পাকিস্তানের (pakistan) সঙ্গে যোগ রয়েছে চিনের।
৩ ফেব্রুয়ারি করাচির (Karachi) কাশিম বন্দরে যাওয়ার সময় একটি চিনা জাহাজকে আটক করে শুল্ক বিভাগ। এই জাহাজ থেকে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোক্লেভ পায় শুল্ক বিভাগ। এটিকে যেটিকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডায়ার বলা হয়। এরপর ১৭ দিন পর জাহাজটিকে করাচি যাওয়ার অনুমতি দেয় শুল্ক বিভাগ। মঙ্গলবার সকালে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশনের (DRDO) বিশেষজ্ঞ ও ক্ষেপণাস্ত্র বিজ্ঞানীরা জানান, বাজেয়াপ্ত করা এই ১৮.৪ মিটারের অটোক্লেভটি দিয়ে বড়সড় হামলা করা যেতে পারে। এক উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা আধিকারিক জানান, দূরপাল্লার (১,৫০০ কিমির বেশি) ক্ষেপণাস্ত্রের মোটর এবং উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মোটর তৈরির জন্য এই অটোক্লেভটি ব্যবহার করা হয়।
পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে পাকিস্তানকে সাহায্য করার জনু বহুবার উত্তর কোরিয়ার (North Korea) নাম সামনে এসেছে। পরবর্তীতে সেই দলে নাম লেখাতে থাকে চিন। অপরদিকে ইসলামাবাদের (Islamabad) পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে আশির দশক থেকে বেজিং (Beijing) সাহায্য করে চলেছে। আর সেজন্যই ভারতের বিরোধিতা করে আসছে বলে বারবার শোনা গেছে বেজিংএর নাম। তবে, ডিআরডিওয়ের বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই অটোক্লেভটি উদ্ধারের ফলে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ইসলামাবাদ ও বেজিংয়ের মধ্যেকার যোগসূত্র আরও একবার সামনে চলে আসে।
চিনের এরূপ আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে আধিকারিকরা জানিয়েছেন,ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি বিদেশ মন্ত্রক এবং জাতীয় সুরক্ষা পরিকল্পনাবিদদের জানানো হয়েছে। তবে রাষ্ট্রসংঘকেও জানানোও হবে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তাঁরা জানান এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন জাতীয় সুরক্ষা পরিকল্পনাবিদরা।