বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমেরিকার (United States) বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত চীনা পড়ুয়ারা এবার প্রবল সংকটের মুখে। ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসনের পরবর্তী নিশানা হতে চলেছে মার্কিন বিদ্যালয়ে পাঠরত চীনা বিদ্যার্থীরা, এমনটা শোনা যাচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে তাঁদের সেখান থেকে বহিস্কার করা যেতে পারে।
করোনা ভাইরাসের কারণে চীনকে দোষারোপ করেই ক্ষান্ত হননি ট্রাম্প। সুপার পাওয়ার আমেরিকা তাই এবার আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চীনা পড়ুয়াদের বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন।
কর্মহীন বিশ্বের বিরাট সংখ্যক
চীনের উহানের করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ যতটা না শারীরিক দিক থকে দুর্বল হয়ে পড়ছে, তাঁর থেকে বেশি মানসিক দিক থেকে ভেঙ্গে পড়ছে। বাড়তে থাকা এই ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি আজ তলানিতে এসে ঠেকেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে বিরাট সংখ্যক মানুষ।
কোণঠাসা চীন
সংক্রমণের দিক থেকে চীন, ইরান এমনকি তুরস্ককেও হার মানিয়ে নবম স্থানে পৌঁছেছে ভারত। ক্রমশই বেড়ে চলেছে এই ভাইরাসের ভয়াবহতা। সমগ্র বিশ্বের সাথে চীনের সম্পর্ক শত্রুতায় পরিণত হয়েছে। দূরের দেশ তো ছাড়, প্রতিবেশি বন্ধু দেশও আজ এই ভাইরাসের কারণে চীনের বিপক্ষে চলে গেছে। সমগ্র বিশ্বে প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। ভাইরাসের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বিশ্ববাসী। মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারংবার এই ভাইরাসের ফলে মারাত্মক ক্ষতির জন্য জিনপিং সরকারকে দোষারোপ করেছে।
লাদাখ সীমান্তে চীনের দাদাগিরি
শুধুমাত্র আমেরিকাই নয়, ভারতের সঙ্গেও চীনের সংঘর্ষ জারী অব্যহত রয়েছে। ভারতের লাদাখ সীমান্তে সীমা বিবাদের জেরে প্রায় ৫০০০ সেনা মোতায়েন করেছে চীন। এছাড়া লাদাখের পার্শ্ববর্তী নদীর তিরে তাবুও লাগিয়ে ফেলেছে। এরই মধ্যে সযুক্ত রাষ্ট্রের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুটরেজ ভারত এবং চীনের মধ্যেকার সীমা বিবাদ শেষ করার বার্তা দেন। এমনকি মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই সমস্যার সমাধানের জন্য অনুরোধ করলে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে ট্রাম্পকে এই ঝামেলা থেকে দূরে থাকতে বলেন।