বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে একটি মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা জ্বললে বিহার, অসম, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি, ওড়িশা জ্বলবে, বলেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দাল। এবার রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
রাজ্য সামলাতে ব্যর্থ মমতা (Mamata Banerjee), দাবি চিরাগ পাসওয়ানের
লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) দলের নেতা মমতার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। চিরাগ (Chirag Paswan) বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, যদি বাংলা জ্বলে, তাহলে গোটা ভারত জ্বলবে। এটা কেমন ধরণের মন্তব্য?’
- পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি
এখানেই না থেমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘একজন মুখ্যমন্ত্রী মুখ থেকে এই ধরণের মন্তব্যের থেকে লজ্জার কিছু নেই। উনি নিজের রাজ্য ঠিকভাবে সামলাতে পারছেন না। পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক’। এদিন মমতার মন্তব্যের নিন্দা করার পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ড (RG Kar Incident) নিয়েও সরব হন চিরাগ।
আরও পড়ুনঃ মমতা অতীত! এবার এই ’হেভিওয়েটে’র পদত্যাগের দাবি! লালবাজার অভিযানের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের
উল্লেখ্য, গত বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, ‘কেউ কেউ ভাবছেন, এটা বাংলাদেশ। মনে রাখবেন, বাংলায় যদি আগুন লাগান, অসমও থেমে থাকবে না, বিহারও থেমে থাকবে না, উত্তর পূর্বও থেমে থাকবে না, উত্তর প্রদেশও থেমে থাকবে না, ঝাড়খণ্ডও থেমে থাকবে না, ওড়িশাও থেমে থাকবে না আর দিল্লি থেমে থাকবে না’।
এখানেই শেষ নয়, এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী বলেন, ‘আপনার দলকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন? আমরা আপনার চেয়ারটা টলমল করে দেব’। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই জোর বিতর্ক তৈরি হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে চিঠি লিখে মমতার বিরুদ্ধে নালিশ করেন।
এরপর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দাল মমতার (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে আইপিসির ১৫২, ১৯২, ১৯৬ এবং ৩৫৩ ধারায় মামলা দায়ের করেন। দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি ভবন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে অভিযোগের কপি পাঠানো হয়েছে। এসবের মাঝেই পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তুললেন চিরাগ।