বাংলাহান্ট ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে ল্যাজে গোবরে অবস্থা অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর (Bonny Sengupta)। ধৃত কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকার গাড়ি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। দুবার ইডি তদন্তকারীদের মুখোমুখিও হয়েছেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরে বনিকে নিয়ে ইতিমধ্যেই কানাকানি শুরু হয়ে গিয়েছে। উঠতে বসতে ব্যঙ্গ বিদ্রুপের মুখে পড়ছেন তিনি। এমতাবস্থায় সবার বিপরীতে গিয়ে বনির পাশে দাঁড়ালেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (Chiranjeet Chakraborty)।
প্রাক্তন অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত বলেন, তিনি আর হতাশ হন না, হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এটা। ছবিতে টাকা কোথা থেকে আসছে তা বিচার করার দায় ইন্ডাস্ট্রির নয়। টাকা আসবেই। সেটা সুনীতির টাকা না দুর্নীতির টাকা সেটা বিচার করার দায় ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বসে নেই। তাহলে ছবিই তৈরি হত না।
তবে চিরঞ্জিত স্বীকার করেছেন, ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক রকম ভাবে টাকা আসে। অনেকে কালো টাকা সাদা করতেও আসে বলে তিনি শুনেছেন। কিন্তু কোনো পরিচালক প্রযোজকের ঠিকুজি কুষ্ঠি দেখে তারপর ছবি তৈরি করেছেন বলে তিনি অন্তত শোনেননি, বক্তব্য চিরঞ্জিতের।
ইন্ডাস্ট্রিতে দুর্নীতির টাকা ঢোকা নিয়ে আশ্চর্য না হলেও বনির নাম জড়ানোয় মন খারাপ চিরঞ্জিতের। তাঁকে ‘বাচ্চা ছেলে’ বলে দাবি করে প্রবীণ অভিনেতা বলেন, সবে মাত্র কেরিয়ার শুরু করেছেন বনি। পারিশ্রমিক হিসাবে হয়তো টাকাটা নিয়েছিলেন তিনি। টাকার উৎস নিয়ে মাথা ঘামাননি। এখন নাম জড়িয়ে পড়েছে, এটা দূর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন চিরঞ্জিত।
বনির পক্ষ নিয়ে তিনি আরো বলেন, অনেক সময়েই শিল্পীদের চেকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। বিশেষ করে যেসব অভিনেতা অভিনেত্রীরা সিরিয়ালে কাজ করেন তাদের চেকেই পেমেন্ট করা হয় বলে জানান চিরঞ্জিত। সেই টাকা কে দিয়েছে, কীভাবে দিয়েছে সেটা দেখার দায়িত্ব প্রযোজনা সংস্থার, শিল্পীর নয়। তাই শিল্পীকে দোষ দিলে হবে না, সাফ জানিয়ে দেন চিরঞ্জিত।