বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলতি মাসেই অর্থাৎ ৩ মার্চ থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শুরু হয়েছে উচ্চ-মাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষা। এবছর এই পরীক্ষা চলবে আগামী ১৮ মার্চ পর্যন্ত। প্রথাগত পদ্ধতিতে এবারই শেষবারের মতো উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন পড়ুয়ারা। জানা যাচ্ছে,পশ্চিমবঙ্গে আগামী বছর থেকে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই এবার ফলপ্রকাশের দিনক্ষণ জানিয়ে দিলেন সংসদ-সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য (Chiranjib Bhattacharya)।
উচ্চ-মাধ্যমিকের (Higher Secondary) রেজাল্ট কবে?
জানা যাচ্ছে আগামী মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই উচ্চ-মাধ্যমিকের (Higher Secondary) ৱেজাল্ট বেরোতে পারে। এদিন বীরভূমের সিউড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংসদ-সভাপতি বললেন, ‘মাধ্যমিকের রেজাল্ট বের হওয়ার ৭ দিনের মধ্যেই প্রকাশিত হবে উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট। পুরো পদ্ধতিটাই অনলাইনের মাধ্যমে হবে। ডিজিট্যাল পদ্ধতিতে পুরো প্রক্রিয়াটি হওয়ায় আমাদের রেজাল্ট দিতে এখন সময় কম লাগছে।’
রাজ্যে এববছর উচ্চ-মাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষা দিচ্ছেন মোট ৫ লক্ষ ৮ হাজার পরীক্ষার্থী। তবে জানা যাচ্ছে, এবছর উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের তুলনায় একাদশ শ্রেণীতে রেজিস্ট্রেশনের সংখ্য়া ছিল অনেক বেশি। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল নাম রেজিট্রেশন করার পরেও পরীক্ষায় বসেননি বহু ছাত্র-ছাত্রী। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী,রেজিস্ট্রেশন করেও এবছর পরীক্ষায় বসছেন না ৪৫ হাজার পড়ুয়া। যা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।
আরও পড়ুন: অভিষেকের আপত্তিতে রাতারাতি স্থগিতাদেশ? কোর কমিটি ঘিরে বিরাট জল্পনা
কথা প্রসঙ্গে এদিন সংসদ-সভাপতি মুখ খুলেছিলেন ট্যাবের টাকা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষায় না বসার প্রসঙ্গ নিয়েও। জানা যায় সরকারি প্রকল্পে ট্যাব কেনার টাকা নেওয়ার পর পড়াশোনা থেকেই মুখ ফিরিয়েছেন অনেকে। এপ্রসঙ্গে এদিন চিরঞ্জীববাবু বললেন, বীরভূম জেলার ৭৮৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন তাঁরা আগামীদিনে পরীক্ষায় বসবেন নাকি বসবেন না সেটা তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত।
প্রসঙ্গত রাজ্যের পড়ুয়াদের অর্থাৎ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসের সুবিধার জন্য ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে ট্যাব কেনার টাকা দিয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। কিছুদিন আগে এই প্রকল্পের টাকা নিয়েও বিরাট আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ‘ট্যাব কেলেঙ্কারি’র এই বিষয়টি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বান্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসেছিল রাজ্য প্রশাসন।