বাংলাহান্ট ডেস্ক: বড় বিপদে ফাঁসলেন তৃণমূল (tmc) বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (chiranjit chakraborty)। ইতিমধ্যেই বারাসাতে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু প্রচার শুরু করার আগেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন চিরঞ্জিৎ। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি ও বাম।
তৃণমূলের তরফে প্রার্থী তালিকা ঘোষনা হওয়ার পরের দিনই বারাসাত পুরসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন চিরঞ্জিৎ। তৃণমূলের নির্বাচনী ট্যাগ লাইন ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ ব্যানারও লাগানো ছিল। কিন্তু নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর সরকারি দফতরে কোনো রাজনৈতিক দলের সাংবাদিক সম্মেলন কিকরে সম্ভব? প্রশ্ন তোলে বাম ও বিজেপি।
জেলা নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই শোকজ করেছে বারাসাত পুরসভার পুর প্রশাসককে। তবে তাঁর বক্তব্য, জেলা নির্বাচন কমিশন শুধু সেদিনের কর্মসূচীর কথা জানতে চেয়েছিল। সাংবাদিক সম্মেলন পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না বলেও জানান তিনি।
কিছুদিন আগে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগেই ভোট যুদ্ধে নামার আগে বর্ম হিসাবে করোনার টিকা নেন চিরঞ্জিৎ। অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক বলেন, প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন রাজনীতি ছেড়ে অভিনয়ের জগতে ফিরে যাবেন।
কিন্তু বর্তমানে নির্বাচনের যা হাল তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে যেতে দেননি। তাই তিনিও ভোট যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। উপরন্তু নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে তারকা যোগ নিয়ে চিরঞ্জিতের বক্তব্য, এখন বাংলা ছবির চল তেমন নেই। সেই কারণেই টাকা ও গ্ল্যামার পেতে তারকারা রাজনীতিতে আসছেন।
সম্প্রতি বামনগাছিতে দলীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই তৃণমূল বিধায়ক মন্তব্য করেন, “আগেও দুবার ভোটে দাঁড়ানোর সময় বলেছিলাম আমি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নই। আমি অরাজনৈতিক ব্যক্তি। রাজনীতিতে আসতে চাইনি, এসেছিলাম। দ্বিতীয় বার টিকিট পেয়েছিলাম, জিতেছি।”
চিরঞ্জিৎ আরো বলেন, “তৃতীয় বারও যদি টিকিট পাই তাই করব। যেটা করছিলাম মন দিয়ে একশো শতাংশ কর্তব্য পালন করব। যদি না পাই তাহলে আমি আমার জগতে ফিরে যাব। কারণ আমি দলবদলু পার্টি নই।”