‘হিরণ আমাদের ছেলে, ফিরে আসবেই’, বিতর্কের মাঝেই জল্পনা উস্কে দিলেন তৃণমূলের চিরঞ্জিৎ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরে খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক তথা অভিনেতা তথা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের (Hiran Chatterjee) তৃণমূলে (Trinamool) যোগদানের জল্পনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পদ্মফুল ছেড়ে এবার কী তবে জোড়াফুল শিবিরে পা রাখছেন অভিনেতা? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। এরই মধ্যে অভিনেতা হিরণকে নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন বারাসাতের (Barasat) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তথা অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjit)। সাথেই বেশ কিছুটা উস্কে দিলেন জল্পনা।

রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই দল বদলির খেলায় নেমেছে অনেকেই। এই আবহেই হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ঘাসফুলে যোগদানের জল্পনা ছড়িয়েছে বেশ কিছুদিন থেকেই যখন তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পরে। খবর সত্যি কী মিথ্যে তার প্রমাণ এখনও মেলেনি। তবে এরই মধ্যে
হিরণ প্রসঙ্গে মুখ খুলে জল্পনা আরও বাড়ালেন তৃণমূলের চিরঞ্জিৎ।

এদিন বারাসাত ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে অষ্টমতম বর্ষের রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন চিরঞ্জিৎ। সেখান থেকেই তিঁনি বলেন, ‘জল্পনা থেকে কল্পনা হয়, তারপরেই হয় সম্ভাবনা হয়। হিরণ আমাদের ছেল ছিল। আবার গিয়েছে, ফিরে আসবে। এটাই হবেই। কেন ওখানে থাকবে? তৃণমূল যদি পাঁচ মিনিটের জন্য দরজা খুলে দেয় তবে বিজেপি পার্টিটাই উঠে যাবে। কিন্তু, দরজা খোলা হয়নি। হিরণকেও এখনই যোগদান করানো হবে না। কোনও ঘোষণাও নেই। আগে সম্ভাবনা হোক, তারপর ভাবা যাবে। আমি দাঁতনে গিয়েছিলাম। তখন একজন আমাকে বলেছে যে হিরণ ফিরে আসতে চায়।’

tmc bjp

তৃণমূল বিধায়কের এহেন মন্তব্যের পরই জল্পনার আগুনে যেন আরও বেশ কিছুটা ঘি পড়ল। এদিন হিরণ প্রসঙ্গে মুখ খোলার পাশাপাশি দিদির দূত নিয়েও বিরোধীদের কড়া বার্তা দেন চিরঞ্জিৎ। বলেন, ‘বিরোধীরা কারও কাছে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না বলেই এই কথা বলছে। বিরোধীদের লোকজন নেই, চিরকাল যা বলে তাই বলছে। দিদির দূত হয়ে আমরা মানুষের প্রয়োজনের কথা শুনতেই যাচ্ছি। মানুষের কাছে গিয়ে জানা যাবে, তারা প্রত্যেকে চার থেকে পাঁচটা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। তাছাড়াও মানুষের যদি কোনও অসুবিধা থাকলে তারা বলতেই পারে। আমরা এমনিই মানুষের পাশে থাকি। তাদের যা প্রয়োজন দেওয়া হবে।’


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর