বাঙালিদের খাবার যে কতটা মনের প্রানের আর সুস্বাদু , তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বাঙালিদেরছাড়াও অন্য দেশের মানুষ তাদের কাছেও বাংলার খাবার অনেকটা পছন্দের। বাঙালিদের খাবার এতটাই মনের মতন তেল ঝাল মিশ্রনে বানানো হয়।
তা দেশে বিদেশে সকল মানুষ চেটেপুটে তার স্বাদ গ্রহন করতে পছন্দ করে থাকেন। কিন্তু রাজধানি দিল্লিতে বাঙালি খাবার যে এতটা জনপ্রিয় তা না গেলে বা না দেখলে বোঝা সম্ভব নয়। এর মধ্যে বেশ কিছু জনপ্রিয় খাবার হল ফুচকা, চুরমুর,ঘুগনি, কাঠি রোল, মোগলাই পরোটা, ঝাল মুড়ি। এইসব খাবার তো আমাদের এখানে মানে কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় । বাঙালিরা চেটেপুটে এসব খাবার খেয়ে থাকেন। কলকাতার রাস্তায় সারি সারি ফুচকা, রোলের দোকান, তার পাশাপাশি চুরমুর ঝালমুড়ি এবং মোগলাই পরোটা।
তার পাশাপাশি আবার অনেকগুলো বাঙালি রেস্তোরাও আছে যেখানে জমিয়ে ভাত , ডাল , মাছ,মাংস খাওয়া যেতে পারে।ম্যাডলি বাঙালি নামক একটি রেস্তোরা আছে, যেটি অমিত মিত্র, শাশ্বত ঘোষাল এবং দীপালক্ষ্মী – তরুণ প্রজন্মের তিন বন্ধুর প্রয়াসেই দিল্লির বাঙালি পাড়ায় পরিচিত হয়ে উঠেছে ‘ম্যাডলি বাঙালি’ রেস্তোরাঁ। শুধু বাঙালি নয় অবাঙালিদের কাছেও ম্যাডলি বাঙালির পরিচিত রয়েছে।
অমিতের কথায়, ‘বাঙালি ক্রেতার পাশাপাশি অবাঙালিরাও আসেন মাছের টানে।’ আবার অন্যদিকে আছে সিটি অফ জয়, যা রাজধানীর বাঙালিদের অন্যতম পছন্দের ঠিকানায় পরিণত হয়েছে এই রেস্তোরাঁ। বাঙালি খাবার গোটা দেশে কিছুটা হলেও উপেক্ষিত। দেবজ্যোতি বাবু বলেন, ‘পুরোনো দিনের বাঙালি খাবার ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। মোচার ঘণ্ট বা কচু দিয়ে ইলিশের মাথা – এই জাতীয় রান্না যাতে দিল্লির বাঙালিদের পাতে থাকে, সেই উদ্দেশ্য নিয়েই সিটি অব জয়-এর যাত্রা শুরু হয়’ । সব মিলিয়ে রাস্তার খাবার থেকে রেস্তোরা বাঙালিদের খাবারের চর্চা হয়না এরকম কোন জায়গা নেই বললে ভুল হবে।