বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আইএনএক্স মিডিয়া (Inx Media) মামলায় গ্রেফতারি এড়াতে ২৭ ঘণ্টার জন্য নিখোঁজ হয়েচ গেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা পি. চিদম্বরম। ২৭ ঘণ্টা পর সামনে এসে দিল্লী কংগ্রেসের প্রধান অফিসে একটি প্রেস বার্তা করেন উনি। ওই প্রেস বার্তায় নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষও বলেন তিনি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, উনি নির্দোষ হয়ে পালিয়ে গেছিলেন কেন? পি. চিদম্বরমের এই প্রেস বার্তায় কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল, সালমান খুরশিদ এবং অনান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় দুই ঘণ্টা নাটক চলার পর, অবশেষে চিদম্বরমকে গেফতার করে সিবিআই।
Delhi: A Central Bureau of Investigation (CBI) team leaves from AICC headquarters. #PChidamabaram pic.twitter.com/80Fi4LkqC9
— ANI (@ANI) August 21, 2019
২৭ ঘণ্টা পরে সবার সামনে এসে জ্ঞানীগুণী ব্যাক্তিদের মতন বাণী দিতে থাকেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি এটা মানি যে, স্বাধীনতাই হল গণতন্ত্রের মেরুদণ্ড। সংবিধানের সবথেকে মুল্যবান ধারা হল ‘ ধারা ২১” যেটা জিবনকে স্বাধীনতার গ্যারান্টি দেয়। আমাকে যদি জীবন আর স্বাধীনতার মধ্যে কিছু বেছে নিতে হয়, তাহলে অবশ্যই আমি স্বাধীনতাকে বেছে নেব।”
#WATCH A team of Enforcement Directorate arrives at the residence of Congress leader P Chidambaram at Jor Bagh in Delhi. pic.twitter.com/Wew3FrNGcg
— ANI (@ANI) August 21, 2019
পি. চিদম্বরম বলেন, ‘বিগত ২৪ ঘণ্টায় অনেক কিছু হয়ে গেছে, ওই ২৪ ঘণ্টায় কিছু মানুষ চিন্তিত হয়েছেন, আর কিছু মানুষ ভ্রমের স্বীকার হয়েছেন। আইএনএক্স (INX) মিডিয়া মামলায় আমার উপরে কোন অভিযোগ আনা হয়নি, না আমার পরিবারের কোন সদস্যের উপরে কোন অভিযোগ করা হয়েছে। ইডি আর সিবিআই দ্বারা আদালতের কাছে কোন চার্জশিটও দাখিল করা হয়নি।”
Delhi: ED team enters the residence of P Chidambaram. pic.twitter.com/P1ZXC5MpIY
— ANI (@ANI) August 21, 2019
উনি আরও বলেন, ‘আমি এটা দেখে হয়রান যে, আমার উপরে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনা হচ্ছে, কিন্তু আমি এর থেকে উলটো আইন থেকেই সুরক্ষা চাইছি। আমার আইনজীবী বলেছেন যে, শুক্রবার এই মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে। আমি সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে সন্মান জানাই। আমার উপর তদন্তকারী সংস্থা গুলো যতই অত্যাচার করুক না কেন, আমি আইনের সন্মান করি।” এরপর তিনি জোরবাগের বাংলোতে যান। যেখানে ওনার পিছনে পিছনে সিবিআই আর ইডির টিমও যায়। এবং ওনার বাংলোর পাঁচিল টপকে প্রবেশ কোর্টে বাধ্য হয়।