বাংলাহান্ট ডেস্ক : মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র কার্যকলাপ ছড়িয়ে রয়েছে গোটা বিশ্বজুড়েই। এবার সিআইএ’র গোপন আস্তানার খোঁজ কলকাতায় (Kolkata)! ১৯৬৩ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যা সংক্রান্ত একটি ফাইলের সূত্রে দাবি করা হয়েছে, নিউ দিল্লি ও কলকাতায় গোপন ঘাঁটি বা সিক্রেট বেস রয়েছে সিআইএ-র ( সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সি)।
সিআইএ’র গোপন ঘাঁটি কলকাতায় (Kolkata)
দ্য উইকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের (India) অন্যান্য শহরের পাশাপশি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার গোপন আস্তানার সাথে রয়েছে কলকাতা (Kolkata) যোগ। জাতীয় সুরক্ষায় আমেরিকার বাইরেও বিশ্বের একাধিক প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে CIA। সিআইএ-র ‘ব্ল্যাক সাইট’গুলি থেকে নজরদারি চালানোর পাশাপশি গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্দেহভাজনদের জেরা করারও অভিযোগ ওঠে নিয়ম বহির্ভূতভাবে।
আরও পড়ুন : অবশেষে বিচার পেলেন নির্যাতিতা! সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনার মুখে হাইকোর্ট
সম্প্রতি কেনেডি হত্যার ‘ক্লাসিফায়েড’ নথি থেকে জানা গিয়েছে বিশ্বের কোন কোন শহরে মার্কিন এই গোয়েন্দা সংস্থার আস্তানা ছিল বা বর্তমানেও আছে। রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা আরটি গত বুধবার কেনেডি হত্যার ‘ক্লাসিফায়েড’ নথিগুলির একটি পৃষ্ঠা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে (এই পৃষ্ঠার সত্যতা বাংলা হান্ট যাচাই করেনি)।
CIA had “secret bases” in Kolkata, Delhi.
These secret facilities, also known as “black sites,” are used by the CIA for various clandestine operations. pic.twitter.com/scuqzrsadN
— Buddhi (@buddhimedia) March 19, 2025
দেখা যাচ্ছে, ‘ক্লাসিফায়েড’ পৃষ্ঠার একদম উপর লেখা ফিল্ড ডিসট্রিবিউশন। তার নিচে বেশকিছু ডিভিশনের অধীনে রয়েছে বিশ্বের একাধিক শহরের নাম। এই পৃষ্ঠার এনই ডিভিশনে উল্লেখ রয়েছে কলকাতা (তৎকালীন ক্যালকাটা) ও দিল্লির নাম। সিআইএ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের কার্যালয়গুলিকে চিহ্নিত করে থাকে ‘এনই ডিভিশন’ নামে। সেই ডিভিশনের আওতায় রয়েছে কলকাতার নাম।
পাশাপাশি এই পৃষ্ঠা অনুযায়ী, তুরস্কের আঙ্কারা, পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি, শ্রীলঙ্কার কলম্বো, ইরানের তেহরান, দক্ষিণ কোরিয়ার সিওল, জাপানের টোকিয়ো, ব্রিটেনের লন্ডন-সহ বিশ্বের একাধিক বড় শহরেও ছিল সিআইএ’র গোপন ঘাঁটি। অতীতের একাধিক রিপোর্টে সিআইএ-র সাথে ভারতের সম্পর্কযুক্ত ঘটনার প্রমাণ মিলেছে বহুবার। সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টেও ফের একবার মিলল তেমনই ইঙ্গিত।