বাংলা হান্ট ডেস্ক :চ্যালেঞ্জে অবশেষে জয়ীই হল কেন্দ্র। আগে যদিও মন্ত্রী সভায় পাশ হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও চিন্তা ছিল সোমবারের ফলাফল নিয়ে। উত্তর পূর্বে যেভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা হয়েছে তাতে তা একেবারে জোরদার ছিল সোমবার সকাল থেকে। শুধু উত্তর পূর্বেই নয় সংসদে তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেসদেরও ব্যাপক বিরোধিতা ছিল।
তবুও বিরোধিতার সত্ত্বেও জয়ী হল কেন্দ্রীয় সরকার।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের খসড়া পেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অধীর থেকে সকলেই কিন্তু একবাক্যে বিরোধিতার সুর তুলেছিল। কিন্তু এত প্রতিবাদের সত্ত্বেও লোকসভায় পাশ হয়েই গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। তবে এবার রাজ্য সভায় বিলটি পাশ হলেই তা আইনে পরিনত হবে। বিল নিয়ে শুধু বাম কংগ্রেস বা তৃণমূল নয়। শিবসেনার তরফেও বিরোধিতা করে হয়েছি।
হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে অদৃশ্য বিভাজন ও ধর্মীয় যুদ্ধে উস্কানি বলে মন্তব্য করা হয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফেও ধর্মীয় নিরপেক্ষতার অবমাননা বলে ঘোষনা করা হয়। তৃণমূলের তরফে সৌগত রায়ও বিলটির বিরোধিতা শুরু করে। যদিও বিলটি সংখ্যালঘুদের বিপক্ষে নয় বলে দাবি তোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এও বলেন, ‘বিল নিয়ে সব প্রশ্নের জবাব দিতে আমি প্রস্তুত। শুধু কেউ যেন সভা থেকে ওয়াক আউট না করেন’।
অন্যদিকে অধীর চৌধুরি এটিকে অসাংবিধানিক বলেও ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, সোমবার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল টি সংসদে আলোচনা পর্ব শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই সোমবার সকাল থেকে অসম সহ একাধিক রাজ্যে বিলের বিরোধিতা শুরু হয়।এমনকী অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের তরফ থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়েছে।
শুধুমাত্র অসম নয় ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। তাই তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে।যদিও আসুর তরফে বিরোধিতা করা হয়েছে কিন্তু অন্য দিকে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সমর্থন করেছে।
এক কথায় উত্তাল হয়েছে গোটা উত্তর পূর্ব কিন্তু এরই মধ্যে বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও সোমবার লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রস্তাব শুরু করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।