বাংলা হান্ট ডেস্ক : বহু তর্ক বিতর্কের শেষে অবশেষে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন পেশ হতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে সর্বাগ্রে বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল সহ সমস্ত বিরোধীরা কিন্তু সেই নাগরিকত্ব বিল অবশেষে পাশ হয়েছে লোকসভায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল পাশ করবেন বলে সূত্রের খবর।
এমনিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএবি বা নাগরিকত্ব বিল কখনোই পাশ করতে দেবেন না বলে জানিয়েছিলেন একই সঙ্গে তাঁর জীবদ্দশায় এমনটাও কখনও হবে না বলে জানান তিনি। কিন্তু সরকারি পক্ষ নাগরিকত্ব বিল পাশ নিয়ে তেমন কোনও ঝঞ্ঝাট দেখছে না। অন্য দিকে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, আমরা এই বিলের পুরোপুরি বিরোধিতা করব।
আমাদের সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য সংস্কৃতি লঙ্ঘিত হবে এই বিলের মাধ্যমে। কিন্তু নাগরিকত্ব বিল সংশোধনের মাধ্যমে আফগানিস্তান পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শিখ বৌদ্ধ জৈন পার্সি খ্রিস্টান দের দেশে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে আর তা নিয়েই বিরোধিতা শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি।তবে সরকার পক্ষের সন্দেহ না থাকলেও বিরোধী পক্ষেই যে ভোট বেশি যাবে তা আগে থেকেই সন্দেহ করা হয়েছে।
যেহেতু সংসদের নিম্ন কক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়ে গেছে তাই এই মুহূর্তে চিন্তা নেই সরকার পক্ষের। তবে আসল জল কোন দিকে যাবে তা জানা কার্যত সময়ের অপেক্ষা। উল্লেখ্য গত সপ্তাহের বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাগরিক কত সংশোধনী বিলের খসড়া পেশ করেন তাই মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র পাওয়ার পর লোকসভা ও রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশনেই বিলটি পাশ করা নিয়ে কার্যত উঠে পড়ে লেগেছিল কেন্দ্র।
যদিও এনআরসি যখন চালু করা হয় ঠিক তখনই বিজেপি নেতৃত্বরা সিটিজেন শিপ অ্যামিউজমেন্ট বিল আনার দাবি জানিয়েছিল। যদিও বিরোধীদের একটাই দাবি নাগরিকত্ব বিল পাস হলে সংখ্যালঘু সমাজে বড়সড় অসন্তোষ দেখা দেবে। যার জেরে অনেক হিন্দু নাগরিকত্ব খুইয়ে শরণার্থীদের খাতায় নাম লেখাতে বাধ্য হবেন আর তাই এই বিল খারিজ নিয়ে দাবি জানাবে তৃণমূল।