বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) আজ লোকসভায় (Lok Sabha) নাগরিকতা সংশোধন বিল (Citizenship Amendment Bill) পেশ করবেন। বিজেপি তাঁদের সমস্ত সাংসদদের ৯ থেকে ১১ ডিসেম্বর সংসদে উপস্থিত থাকার জন্য হুইপ জারি করেছে। এই বিল পাস হলে প্রতিবেশী দেশ থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন আর পারসি শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকতা দেবে। যদিও, অসম আর উত্তর-পূর্বে এই বিল নিয়ে বিরোধিতা শুরু হয়েছে আরেকদিকে, এই বিল নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান কি হবে, সেটা নিয়ে কংগ্রেসের সংসদীয় গ্রুপের বৈঠক ১০ জনপথে জারি আছে। সনিয়া গান্ধীর সাথে কংগ্রেস নেতাদের বৈঠক চলছে। সুত্র অনুযায়ী, শিবসেনা এই বিলের সমর্থন করতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার মোদী ক্যাবিনেট এই বিলকে মঞ্জুরি দিয়েছে। ক্যাবিনেট মিটিং এর পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছিলেন নাগরিকতা সংশোধন বিল দেশের স্বার্থের দিকে নজর রেখে পেশ করা হবে। জাভড়েকর বলেন, ‘আমার পুরো বিশ্বাস হল যে যখন এই বিলের নিয়মের ঘোষণা করা হবে, তখন উত্তর-পূর্ব আর গোটা দেশ এই বিলকে স্বাগত জানাবে।”
এই বিল যেই শরণার্থীদের জন্য আনা হচ্ছে একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা দেশে তাঁদের সংখ্যা পরিমাপ ঠিক এমন, ৬২ হাজার হিন্দু শরণার্থী শ্রীলঙ্কার আছে। ১ লক্ষ তিব্বতের শরণার্থী। মায়ানমারের ৩৬ হাজার শরণার্থী। দেশে ৪০০ পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থী ক্যাম্প আছে। ১১০ টি শ্রীলঙ্কা আর অন্যান্য দেশের শরণার্থী ক্যাম্প আছে, আর ৩৯ টি তিব্বতের শরণার্থী ক্যাম্প আছে।
যদিও কংগ্রেস, বাম, তৃণমূল আর অন্যান্য বিরোধীরা এই বিলের বিরোধিতা করছে। তাঁদের দাবি অনুযায়ী, এই আইনে মুসলিমদেরও যুক্ত করা উচিৎ। আরেকদিকে সরকার অনুযায়ী, যদি মুসলিমদের নাগরিকতা দেওয়া হয়, তাহলে রোহিঙ্গারাও এই সুযোগে ভারতের নাগরিক হয়ে যাবে। আর সরকার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের কোন মতেই ভারতীয় নাগরিকতা দিতে নারাজ। নাগরিকতা সংশোধন বিলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান আর অন্যান্য দেশ থেকে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ আর পারসিদের ভারতীয় নাগরিকতা দেওয়া নিয়ম আছে। এই সমস্ত ধর্মের মানুষেরা উক্ত দেশ গুলোকে কয়েক দশক ধরে অত্যাচার সহ্য করে আসছে।