বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতা (Kolkata) আনন্দের শহর, আবেগের শহর, আত্মীয়তার শহর। আর তাই তো কলকাতার আর এক নাম ‘সিটি অফ জয়’। কিন্তু এই ‘সিটি অফ জয়’ কলকাতাই এখন ‘সিটি অফ ডেমনস্ট্রেশন’-এ বদলে গিয়েছে। আনন্দনগরী এখন শুধুই বিক্ষোভের শহর। এভাবেই কড়া ভাষায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার। আদালতের তিরষ্কারের মুখেও পড়লেন একদল প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী।
প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে এক চাকরিপ্রার্থী। জানা যাচ্ছে মামলা করেন উচ্চ-প্রাথমিকের চাকরীপ্রার্থী রানি রাসমণি, মেট্রো চ্যানেল বা মাতঙ্গিনী মূর্তির পাদদেশ, শহরের এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গার মধ্যে যেকোনও একটিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে মামলা করা হয়।
উচ্চআদালতে সেই মামলা শুনানি চলছে। মামলার শুনানি চলাকালীনই শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি শম্পা সরকার। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে শহরে সবাই অবরোধ করতে চায়। শহর সিটি অফ জয়ের বদলে সিটি অফ অবস্থা ডেমনস্ট্রেশন হচ্ছে। এটা মানা যায় না।’
বিচারপতি আরও বলেন, ‘এভাবে কি চাকরি পাওয়া যায় নাকি? হাইকোর্টে মামলা চলছে। বিষয়টি সেখানেই সমাধান হবে। এভাবে বিক্ষোভ করে কী লাভ?’ যদিও পরে জানা যায়, মাতঙ্গিনী মূর্তির নীচে অবস্থান বিক্ষোভ করার জন্য উচ্চ-প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মাতঙ্গিনী মূর্তির পাদদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা ও সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছেন বিচারপতি শম্পা সরকার। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে পুলিস প্রথমে এই অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দেয়নি। অনুমতি না মিলতেই হাইকোর্টের দারস্থ হয় চাকরিপ্রার্থীরা। তারপরেই সভা করার অনুমতি পায় তাঁরা।