ছয় টাকার টিকিট কেটে কোটিপতি হয়ে গেল বাংলার সিভিক ভলেন্টিয়ার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হিন্দিতে একটি প্রবাদ আছে, উপরওয়ালা যব দেতা হ্যায়, ছপ্পর ফাড়কে দেতা হ্যায়। মানে ইশ্বর যখন দেন তখন অপরিমিত দেন । ঠিক এই ঘটনার ঘটল মালদহের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের সাথে। মাত্র ছয় টাকা দিয়ে টিকিট কেটে তিনি এখন কোটিপতি। শুধু তাই নয় মালদহ পুলিশ তাকে পুলিশি প্রহরাও দিচ্ছে।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার ফিরোজ আলম রবিবার দুপুরে ছ’টাকার লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান। আট বছর আগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান ফিরোজের বাবা মুসলিমউদ্দিন।  তিন বছরের মধ্যেই মারা যান দাদাও। সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে দ্বায়িত্ব নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন ফিরোজ। হরিশচন্দ্রপুর থানার আলিপুর গ্রামের টালির ছাউনি দেওয়া ঘরে  বিধবা মা, বৌদি এবং ভাইজিকে নিয়ে থাকেন ফিরোজ।

fbyjh

জানা যাচ্ছে, হরিশচন্দ্রপুরের তুলসিহাটা মোড়ে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার আগে শহীদ মোড়ের স্থানীয় একটি দোকান থেকে ৬ টাকার দামের লটারি কাটেন ফিরোজ। দুপুরে ফোন মারফৎ জানতে পারেন ভিনরাজ্যের লটারির প্রথম পুরস্কার কোটি টাকার মালিক তিনি। টিকিট হাতে সোজা ছুটে যান থানায়। তারপর তাকে নিরাপত্তা দেবার তোরজোর লেগে গেছে থানা জুড়ে।

ফিরোজের কথায় অনেক কষ্টে তার দিন গুরজান হয়। বিধবা মা, বৌদি এবং ভাইজিকে নিয়ে তার অভাবের সংসার। পাকা বাড়ি করার ইচ্ছে তার। ভাইঝিকে ভালো ভাবে পড়ানোর ও ইচ্ছে রয়েছে তার। যদিও পুলিশকে পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে রসিকতা করছেন বন্ধুবান্ধব থেকে সহকর্মীরা। ভাগ্যবদলের এই খবরে খুশি ফিরোজ ও তার শুভাকাঙ্খীরা।


সম্পর্কিত খবর