বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের অসংখ্য যুবক-যুবতী সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে কর্মরত। পাড়ার মোড়ে মোড়ে হামেশাই দেখা যায় তাঁদের। এবার তাঁদের নিয়েই বড় সিদ্ধান্ত নিল লালবাজার। কোনও সিভিক ভলেন্টিয়ারের (Civic Volunteers) ‘চারিত্রিক দোষ’ রয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখার কাজ শুরু হল।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteers) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত লালবাজারের!
আরজি কর কাণ্ডে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার গ্রেফতার হওয়ায় কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও ক্ষুন্ন হয়েছে। এবার সেই ভাবমূর্তি শুধরাতে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে লালবাজার। এমনিতেই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে প্রায়ই আমজনতার মুখে নানান অভিযোগ শোনা যায়। আরজি কর কাণ্ডের পর চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ‘চারিত্রিক দোষ’ খুঁজতে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হল।
ইতিমধ্যেই লালবাজারের (Lalbazar) তরফ থেকে কলকাতা পুলিশের সকল ইউনিটের অধীনে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সম্বন্ধে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। এই মর্মে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। যে সকল তথ্য চাওয়া হয়েছে, তার মধ্যে যদি কোনও অসঙ্গতি পাওয়া যায়, তাহলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেটা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের জের! ‘দিদি নম্বর ১’ নিয়ে ‘খারাপ খবর’! মন খারাপ দর্শকদের
জানা যাচ্ছে, প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে জানতে চাওয়া হয়েছে কোনও সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে চারিত্রিক দোষের কোনও রকম অভিযোগ রয়েছে কিনা। এছাড়া কোনও সিভিক ভলেন্টিয়ারের অতীতে কোনও অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ আছে কিনা সেটা দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে জানতে চাওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সকল সিভিক ভলেন্টিয়ারের ব্যাকগ্রাউন্ডের খোঁজ নিয়ে থানাগুলিকে এনওসি জমা করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিভিক ভলেন্টিয়ারের (Civic Volunteers) নাম, ঠিকানা যাচাই থেকে শুরু করে নেশা করেন কিনা, কাজ কেমন করেন, কাজ করতে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও রকম অভিযোগ আছে কিনা সেই সকল তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। এই তথ্যের ক্ষেত্রে যদি কোনও রকম অসঙ্গতি থাকে সেই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেটা না জানা গেলেও ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান চাকরি নিয়ে টানাটানি হতে পারে।